জাতীয় ভোটার দিবসের গুরুত্ব কী?
২০১১ সাল থেকে প্রতি বছরই ২৫ জানুয়ারি দিনটিকে দেশব্যাপী জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। ১৯৫০ সালের এই দিনেই স্থাপিত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। জাতীয় ভোটার দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হল সর্বোচ্চ সংখ্যায় ভোটারদের, বিশেষত নতুন ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করায় উত্সাহ দেওয়া, সেই প্রক্রিয়া জোরদার করা।
জাতীয় ভোটার দিবস কীভাবে পালন করা হয়?
দেশের ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করে কমিশন দিনটিকে কাজে লাগায় তাঁদের মধ্যে সচেতনতার প্রসারে, ভোট প্রক্রিয়ায় তাঁরা যাতে সব জেনেবুঝে অবহিত হয়ে তাতে সামিল হন, সেজন্য়। নতুন ভোটারদের সংবর্ধনা দিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সচিত্র পরিচয়পত্র বা এপিক কার্ড।
কাদের সম্মানিত করা হবে ?
২০২০-২১ বর্ষের জন্য জাতীয় পুরস্কার প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সবচেয়ে ভাল নির্বাচনী নিয়মবিধি, রীতিনীতি পালনে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হবে রাজ্য ও জেলা স্তরের অফিসারদের, তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোগ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, কোভিড-১৯ আবহে ভোট পরিচালনা, ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা ছড়ানোর মতো ব্যাপারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে।
এ বছর নতুন কী করছে কমিশন?
আজ রাষ্ট্রপতি কমিশনের ওয়েব রেডিও-হ্যালো ভোটার্স-এর সূচনা করবেন। এই ডিজিট্যাল বেতার পরিষেবার মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা কর্মসূচি জোরদার করা হবে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্কে ক্লিক করে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। জনপ্রিয় এফএম রেডিও পরিষেবার ধাঁচে চালানো হবে রেডিও হ্যালো ভোটার্স-কে। গান, নাটক, আলোচনা, খেলাধূলা, নির্বাচনকে ঘিরে গল্পের মাধ্যমে নির্বাচনী পদ্ধতি সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হবে। হিন্দি, ইংরেজি ও আঞ্চলিক ভাষায় সারা দেশে এই বেতার পরিষেবা মিলবে।
রবিশঙ্কর প্রসাদ আজ ই-এপিক কর্মসূচির সূচনা করবেন, ৫ জন নতুন ভোটারকে ই-এপিক ও ইলেকটর ফটো আইডেনটিটি কার্ড দেবেন। সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের ডিজিটাল ভার্সন পাওয়া হবে ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ ও https://voterportal.eci.gov.in/ and https://www.nvsp.in/. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আজকের অনুষ্ঠানে কমিশনের তিনটি প্রকাশনারও সূচনা করবেন মন্ত্রী। এইসব নথির কপিও পেশ করা হবে রাষ্ট্রপতিকে।
২টি ধাপে এই কর্মসূচির রূপায়ণ হবে। ২৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি সব নতুন ভোটার, যাঁরা ভোটার পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন, ৬ নম্বর ফর্মে তাঁদের মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করিয়েছেন, তাঁরা মোবাইল নম্বরটি বৈধ প্রমাণের পর ই-এপিক ডাইনলোড করতে পারবেন।