গাজিয়াবাদ: ১৩ বছর বয়সেই জীবনের নোংরা, অশ্লীলতম দিকটা দেখে ফেলেছে সে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও জীবনেই ভরসা রেখেছে বুলন্দশহরের অত্যাচারিত মেয়েটি। জানিয়েছে, বড় হয়ে সে আইপিএস অফিসার হতে চায়। যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটিকে পুলিশ তার কাউন্সেলিংয়ের জন্য পাঠাচ্ছে, তার দুই কর্মীর সঙ্গে সে ভাব করে ফেলেছে। যখনই কোনও রাজনৈতিক নেতা তাদের বাড়ি আসছেন, মেয়েটিকে মুখ ঢাকার জন্য জোর করা হচ্ছে। এতে খুব অস্বস্তি হচ্ছে তার। আচরণে পরিষ্কার, তার সঙ্গে যা ঘটেছে, তা খুব একটা বুঝতেই পারেনি সে।

মেয়েটির নির্যাতিতা মা জানিয়েছেন, যারা তাঁদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে, তাদের শাস্তি পেতে দেখতে চান তাঁরা। তাহলেই তাঁর মনের আগুন কিছুটা নিভবে। এখনও জ্বরে ভুগছেন তিনি। জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে পুলিশের সাহায্য পেতে বারবার ১০০ ডায়াল করেন কিন্তু ওদিক থেকে কোনও সাড়া পাননি।

যে চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে তাঁর ও তাঁর মেয়ের মেডিক্যাল পরীক্ষা করেন, তিনি তাঁদের দুজনকেই আপত্তিকর প্রশ্ন করেন বলে অভিযোগ। সোমবার তাঁকে তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশন।

সমাজবাদী পার্টি নেতা আজম খান যেভাবে ধর্ষণের ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র খুঁজেছেন, তাতে ভদ্রমহিলা ক্ষুব্ধ। তবে জানিয়েছেন, যদি সত্যিই রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের সাহায্য করতে চান, তবে তাঁর মেয়ের ভবিষ্যৎ গড়ায় সাহায্য করুন তাঁরা।