নয়াদিল্লি: ডোকা লা নিয়ে যদি ভারত-চিনে যুদ্ধ বেধেও যায়, তবে চিন যতই দাবি করুক, তাতে তাদের কোও লাভ হবে না। উল্টে বিশাল সংখ্যক প্রাণহানি হবে। ডোকা লা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এমনই মূল্যায়ন করেছে।


ভুটানের ডোকা লা-য় দু’মাস ধরে মুখোমুখি ভারত ও চিন। বেজিং এ ব্যাপারে নিত্যদিন গরম গরম বিবৃতি প্রকাশ করলেও সংযম বজায় রেখেছে দিল্লি। ডোকা লা নিয়ে সরকারের একেবারে শীর্ষে যে মূল্যায়ন হয়েছে, তার মোদ্দা বক্তব্য, চিন যতই নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে হইচই করুক, যুদ্ধ হলে কোনও পক্ষ যে পরিষ্কার জিততে পারবে, এমনটা নাও হতে পারে। উল্টে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শক্তি হিসেবে চিনের দাবি ধাক্কা খেতে পারে বড়সড়। সেপ্টেম্বরে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেস, তার আগে বেজিংয়ের কাছে এই পরিস্থিতি খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না।

ডোকা লা-য় ভৌগলিকভাবে চিনের থেকে সুবিধেজনক অবস্থায় ভারত। সীমান্তে পরিকাঠামো নির্মাণে আমরা পিছিয়ে থাকলেও যুদ্ধ বাধলে দু’পক্ষের সেনাই বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

তা ছাড়া ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এখন ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের থেকেও বেশি, পাল্লা ভালরকম ঝুঁকে বেজিংয়ের দিকে। বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাতেও বেজিং যুদ্ধের ঝুঁকি নেবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বরের ৩-৪ তারিখ চিনে ব্রিকস বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক হতে পারে। ডোকা লা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেই বৈঠক বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।