হানিপ্রীত ও গুরমিতের সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই ডেরার প্রাক্তন অনুগামী দাবি করেছেন, গত কয়েক বছর ধরেই সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল তারা।
ডেরার প্রাক্তন অনেক অনুগামীরই দাবি, গুরমিতের সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে ওঠার আগে হানিপ্রীত গুফায় ধর্ষিতা হয়েছিল। প্রাক্তন ডেরা অনুরাগীদের দাবি, দুই সাধ্বীর যে পরিণতি হয়েছিল, সেই একই পরিণতির শিকার হতে হয়েছিল হানিপ্রীতকে। দুই সাধ্বী স্বঘোষিত গডম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হানিপ্রীত ধর্ষণের ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে গুরমিতকে ব্ল্যাকমেল করত। এর বিনিময়ে সে যা চাইত, তাই পেত। এভাবে একটা সময় ডেরার নম্বর টু হয়ে উঠেছিল সে।
গুরমীতের গাড়ির প্রাক্তন চালক খাট্টা সিংহ ও তাঁর ছেলে গুরদাস সিংহ অভিযোগ করেছেন, তাঁরা হানিপ্রীতকে গুরমিতের গুহায় ঢুকতে দেখেছেন। এরপর সে কাঁদতে কাঁদকে গুরমিতের ওই ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে হানিপ্রীতকে বেরোতে দেখেছিলেন। গুরদাসের দাবি, ওই সময় তিনি ও এক তুতো ভাই গুহায় পাহারার কাজে নিযুক্ত ছিলেন।
গুরদাস বলেছেন, হানিপ্রীতকে খুবই বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। গুরমীতের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছিল সে। ডেরায় কোষাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত নিদের দাদুর কাছে ছুটে গিয়েছিল হানিপ্রীত। যদিও পরে গুরমিতের গুণ্ডারা তার মুখ বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয়।
ধর্ষণ মামলায় সিবিআইয়ের সাক্ষী প্রাক্তন ডেরা অনুগামী গুরদাস সিংহ টুরের দাবি, গুরমিত ও হানিপ্রীত তাদের সন্তানকে ডেরার ভবিষ্যত প্রধান হিসেবে ঘোষণা করার ছক কষেছিল।
টুরের দাবি, ডেরার মধ্যে দম্পতির মতোই থাকত হানিপ্রীত ও গুরমিত। উল্লেখ্য, হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী বিশ্বাস গুপ্তাও দাবি করেছেন, তিনি হানিপ্রীত ও গুরমিতকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত থাকতে দেখেছেন। বিশ্বাস আরও দাবি করেছেন যে, হানিপ্রীত আদৌ গুরমিতের দত্তক কন্যা নয়।
টুর দাবি করেছেন, নিজের সন্তানকে ডেরার উত্তরসূরী ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল হানিপ্রীতের। এ ব্যাপারে গুরমিতের সন্তান জসমিত সিংহের উত্তরাধিকার একেবারেই মানত না হানিপ্রীত।
২০০৭-এ গুরমিত জসমিতকে ডেরার পরবর্তী প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু পরে হানিপ্রীতের প্রভাবে মত পরিবর্তন করে সে।
টুর দাবি করেছেন, হানিপ্রীত ও গুরমিত তাদের যে সন্তান হবে তার পিতা হিসেবে বিশ্বাস গুপ্তার নাম ব্যবহার করার কথা ভেবেছিল। যদিও সেই সন্তানের প্রকৃত জনক হবে গুরমিত।
কিন্তু গুপ্তা হানিপ্রীতের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করায় সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।