নয়াদিল্লি: ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার এক বছর বাদে গুজরাতে বিজেপিতে যোগ দিলেন পাকিস্তানি হিন্দু মহিলা। নাম ডিম্পল বিরানদানি। ১৯৯০ সালে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে গুজরাতে এসেছিলেন তিনি। ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় ১৯৯৯-এ হিন্দুকে বিয়ে করেন, দুবাই চলে যান। কিন্তু দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হন। সাত বছর বিয়ে হলেও, বছরে একবার করে ভারতে এলেও তিনি কম এসেছেন, এই কারণ দেখিয়ে ইউপিএ সরকার তাঁর ভারতের নাগরিকত্বের আর্জি খারিজ করে দেয় বলেও দাবি ডিম্পলের।
অবশেষে গত বছর কেন্দ্রের মোদী সরকারের ঘোষিত নীতির ফলে স্বপ্নপূরণ হয় ডিম্পলের। সেই 'কৃতজ্ঞতার' সূত্রেই কর্মী হিসাবে বিজেপিতে যোগদান, গুজরাতে বিধানসভার ভোটের মুখে।
তাঁর এখন উপলব্ধি, প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু সংখ্যালঘুদের প্রতি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র তুলনায় মোদীর এনডিএ সরকার অনেক বেশি দরদী, সহানুভূতিশীল। তিনি বলেছেন, ২০১৫ সালে মোদী সরকার পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ নানা দেশ ছেড়ে আসা হিন্দুদের সহজে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে আইনে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন করেছে। হিন্দুদের দীর্ঘ কয়েক দশকের অপেক্ষা, লড়াইয়ের অবসান ঘটেছে। শুধু আমদাবাদেই প্রায় ১০০০০ পাকিস্তান ছেড়ে আসা হিন্দু আছেন বলে জানিয়ে মেমনগরের বাসিন্দা ডিম্পল বলেন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি না, কিন্তু ঘটনা হল, বিজেপি শাসনে আমরা নিরাপদ বোধ করছি।
গত মাসেই ৪৩১ জন পাকিস্তানিকে, যাদের বেশিরভাগই হিন্দু, দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেয় মোদী সরকার। এর ফলে প্যান, আধার কার্ড পাওয়ার আইনি বৈধতা পাবেন তাঁরা, এ দেশে সম্পত্তিও কিনতে পারবেন। কেন্দ্রের সাম্প্রতিক নীতি অনুসারে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান ওই ভিসা পাবেন।