নয়াদিল্লি: বোফর্সকাণ্ডে যা করা সম্ভব হয়নি, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ডে সেটাই করে দেখানো হবে। শুক্রবার এভাবেই কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। জানালেন, কে ঘুষ নিয়েছে তা খুঁজে বের করার আগে বসে থাকবে না সরকার।


এদিন লোকসভায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন পর্রীকর। জানান, চপারকাণ্ডে ঘটা গোটা ‘দুর্নীতি’ পূর্বতন ইউপিএ সরকারের আমলেই ঘটেছে। এই কাণ্ডে নাম উঠে আসা অন্যতম দুই অভিযুক্ত-- প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এসপি ত্যাগী এবং গৌতম খৈতানকে স্রেফ ‘বোড়ে’ বলে উল্লেখ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, যাঁরা দুর্নীতির নদীর স্রোতে নিজেদেপ হাত ধুয়েছেন। নদীর জল কোথায় গড়াচ্ছে, তা ঠিক খুঁজে বের করবে বর্তমান সরকার বলেও মনে করিয়ে দেন পর্রীকর।

এদিন পর্রীকর দাবি করেন, ৩,৬০০ কোটি টাকার ভিভিআইপি চপার চুক্তির বরাত যাতে অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের কাছেই যায়, তার জন্য ‘সবকিছু করেছিল’ ইউপিএ সরকার। তিনি আরও দাবি তোলেন যে, দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হওয়ার পর কার্যত ‘বাধ্য হয়েই’ সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল ইউপিএ সরকার। সম্প্রতি ইতালীয় আদালত যে রায় দিয়েছে, তাকে উল্লেখ করে পর্রীকর জানান, রায়ে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এখানেই থেম না থেকে কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করেন পর্রীকর। তাঁর অভিযোগ, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই এই দুর্নীতির কাণ্ড জানতে পেরেছিল ইউপিএ। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ডিসেম্বরে আরও দুটি হেলিকপ্টারের ডেলিভারি হয়। তিনি যোগ করেন, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে সিবিআই এই মামলায় এফআইআর দায়ের করে, কিন্তু তার কপি ডিসেম্বরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে আসে।

এদিন পর্রীকরের বক্তব্যের আগেই এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবিতে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস। কিন্তু, নিজের বক্তব্যের সময় পর্রীকর জানান, এই মামলায় অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে সিবিআই। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সংসদের সকল সদস্যই সত্য উদঘাটনের প্রশংসা করবেন। পর্রীকরের আশা, বোফর্সকাণ্ডে যা করতে পারিনি, তা এখানে করে দেখাতে পারবে সরকার।