প্রসঙ্গত, সিরিয়ায় গত আট বছর ধরে চলতে থাকা সংঘাতে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। বাশার-আল-আসাদ, তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনী ও আমেরিকা, সৌদি আরব, তুরস্কের মতো তাঁর কট্টর বিরোধীদের বিবাদের জেরে সেদেশে অশান্তি, সংঘাত তুঙ্গে। সম্প্রতি বাশার বাহিনীর সমর্থনে রুশ যুদ্ধবিমান থেকে সিরিয়ার দামাস্কাসের ঘাওতায় হামলার ফলে ৬০০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যা নিয়ে ফের হইচই হচ্ছে।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে রবিশঙ্কর বলেছেন, সৌহার্দ্যের দৃষ্টান্ত দেখিয়ে মুসলিমদের অযোধ্যার জমির ওপর দাবি ছেড়ে দেওয়া উচিত। অযোধ্যা মুসলিমদের ধর্মস্থান নয়।
তাঁর এই মন্তব্যে রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ ইস্যুতে নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিয়া ওয়াকফ বোর্ড প্রধান ওয়াসিম রিজভি বলেছেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি এখানে হবে না। এখানে বহু ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দু, মুসলিম, দুই-ই আছে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে যদি হিন্দু, মুসলমানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, তবে তা তো যে কোনও জায়গায় হতে পারে।
যদিও ইসলামে কোনও বিতর্কিত স্থানে প্রার্থনার অনুমোদন নেই বলে দাবি করেন রবিশঙ্কর।