লখনউ:  বিয়ের আসরে সব আয়োজন যখন শেষ, তখন বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা মাঝে মধ্যে হয়তো ঘটে। কিন্তু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়ে তর্ক করে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা হয়তো এই প্রথম ঘটল। অনেক সময় পণ নিয়ে মনোমালিন্য, কখনও আবার পাত্র বা পাত্রীর গায়ের রঙ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বা নিজের বিয়ের আসরে পাত্রের নাগিন নাচ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণ হয়েছে। এবার ঘটল একেবারেই অভিনব ঘটনা।

উত্তরপ্রদেশ সরকারে কর্মরত এক মহিলা সরকারি কর্মী তাঁর বিয়ে ভেঙে দিলেন। কারণ, মোদী প্রসঙ্গে তিনি পাত্রের সঙ্গে সহমত হতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পছন্দের রাজনৈতিক নেতার হয়ে সওয়াল করে কথা কাটাকাটি হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু তার জন্যে বিয়ে ভেঙে দেওয়া, যেন সত্যিই একটু বাড়াবাড়ি।

একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিয়ের আসরে পাত্র ও পাত্রী পক্ষের মধ্যে ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে কথা হচ্ছিল। সেখানেই পাত্রীর দাবি ছিল, ভারতীয় অর্থনীতির এই স্লথগতির জন্যে দায়ী মোদী সরকারের বিভিন্ন নীতিই। পাত্র যিনি মোদীর অন্ধ সমর্থক, এই দাবির সঙ্গে মোটেই সহমত হতে পারেননি। সবাই জানতেন এই আলোচনার কোনও শেষ হয় না। কিন্তু শেষ হল এবং পাত্র-পাত্রী সহমত হলেন। সেটা হল বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে দুপক্ষই সহমত হন।

বিয়ের মতো বিষয়, রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়ে তর্কের জেরে কার্যত এই প্রথম ভাঙল, এবং তা দেখে তাজ্জব হলেন সেখানে উপস্থিত সকলেই।