লখনউ: বিয়ে মানে সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান। দেদার খাওয়া-দাওয়া, ঝলমলে পোশাক-পরিচ্ছদ, গান-নাচ, আরও কত কিছু। কিন্তু সামান্য কারণেই এই জৌলুসে ভাঁটা পড়তে পারে। এমনও ঘটনা ঘটেছে, বর মদ্যপ হওয়ায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হননি কনে। আবার দাবি মতো পণের টাকা না পেয়েও বরপক্ষের বিয়ে ভেঙে দেওয়ার মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাও নতুন নয়। এবার এমন একটা তুচ্ছ কারণে বিয়ে ভাঙল যা শুনলে বিশ্বাস করাটাই মুশকিল। হ্যাঁ, সামান্য একটা রসগোল্লার জন্য বিয়ে ভেঙে গেল!
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, লখনউ থেকে ৭০ কিমি দূরে কুর্মাপুর গ্রামে গত ১৪ এপ্রিল এমনই আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে। শিবকুমার নামে এক যুবকের সঙ্গে কাছের একটি গ্রামেরই কনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
বিয়ে বাড়ি তখন জমজমাট। প্রথা মেনে ঢোল ও নাগারা বাজিয়ে বরযাত্রী সহ বরও চলে এসেছে বিয়ের আসরে। বরযাত্রীদের আসতে একটু দেরীই হয়েছিল। সেজন্য কনের বাবা বরযাত্রীদের খাওয়াদাওয়া তাড়াতাড়ি সেরে নিতে বলেন। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু হঠাত্ বাঁধল গণ্ডগোল। কনের এক আত্মীয়র সঙ্গে বরের এক তুতো ভাই সঞ্জয়ের।
জানা গেছে, খাওয়ার সময় সঞ্জয় দুটি রসগোল্লা চেয়েছিলেন। কিন্তু কনের আত্মীয় তা দিতে অস্বীকার করেন।কারণ, তাঁকে অতিথিদের একটি করেই রসগোল্লা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে তুচ্ছ বচসা চরম আকার ধারণ করল। বরপক্ষ ও কনেপক্ষর মধ্যে হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র বেঁধে যায়। একে অপরকে লক্ষ্য করে খাবারের প্লেট ছুঁড়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। বর ও কনের বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।রাগে দিশেহারা মনোজ ও তাঁর সঙ্গীরা কনের বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়দের গালিগালাজ ও মারধরও করতে শুরু করে।
পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ পর্যন্ত ডাকা হয়। দুই পক্ষকে শান্ত করে পুলিশ। গ্রামের বয়স্করাও ঝামেলা মিটিয়ে বিয়ের কাজ সারতে উদ্যোগী হন।
কিন্তু পুরো ঘটনা দেখে বিয়েতে বেঁকে বসেন কনে। সামান্য কারণে যারা এ ধরনের ব্যবহার করতে পারেন, তাঁদের পরিবারের ছেলেকে বিয়ে করতে করতে চাইলেন না তিনি। বারবার অনুরোধ করেও তাঁর সিদ্ধান্ত বদলানো যায়নি।
শেষমেশ কনে বউ না নিয়েই ফিরতে হল বরকে।
সামান্য একটা রসগোল্লার জন্য ভেঙে গেল বিয়ে!
ABP Ananda, web desk
Updated at:
21 Apr 2017 12:34 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -