নয়াদিল্লি: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করা আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানীরা স্বাধীনতা সংগ্রামী না সেনাত্যাগী? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের থেকে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পাঠাল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন।


সম্প্রতি, তথ্য জানার অধিকার আইনে এই প্রশ্ন তোলেন প্রদ্যোৎ কুমার মিত্র নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু, তিনি সেই উত্তর পাননি। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ২৬ অগস্ট তিনি তাঁর আবেদন দাখিল করেন।


প্রথমে তাঁর আবেদন প্রতিরক্ষমন্ত্রকে যায়। সেখান থেকে তা পাঠানো হয় প্রাক্তন সেনাকর্মী কল্যাণ দফতরে। সেখান থেকে আবার তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। অবশেষে তা পৌঁছয় জাতীয় সংরক্ষণাগারে।


এদিন, প্রধান তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচার্যুলু জানান, জাতীয় সংরক্ষণাগারের কাছে আবেদন পাঠিয়ে ঠিক কাজই করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কারণ, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে তারাই।


যদিও, একইসঙ্গে তিনি এ-ও জানান, আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানীদের যে সামাজিক গ্লানি বয়ে বেড়াতে হয়, তা দূর করতে অন্তত প্রশ্নের উত্তর দিতেই পারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।


আচার্যুলু যোগ করেন, কেন আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানীদের স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে দেখা হবে না, বা কেন তাঁরাও প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না, সেই সংশয় দূর হওয়া উচিত।


এই প্রসঙ্গে, প্রদ্যোৎবাবুর তোলা প্রশ্নের উত্তর এবং কেন্দ্রীয় নীতি খোলসা করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে তথ্য কমিশন।