নয়াদিল্লি: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে লস্কর জঙ্গিদের সাতটি লঞ্চপ্যাড উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তবে এই লঞ্চপ্যাড জঙ্গিদের শিবির নয়। জঙ্গি শিবিরের সঙ্গে বেশ কিছু ফারাক রয়েছে লঞ্চপ্যাডের।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ব্যাঙের ছাতার মতো রয়েছে অসংখ্য জঙ্গি শিবির। সেই সব শিবিরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আর জঙ্গি শিবির থেকে বেশ খানিকটা দূরে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ২-৩ কিলোমিটার দূরত্বে থাকে লঞ্চপ্যাড।
প্রশিক্ষণের পর, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের আগে এই লঞ্চপ্যাডে রাখা হয় জঙ্গিদের। এই লঞ্চপ্যাড জঙ্গিদের এক ধরনের গোপন আস্তানা।  এই লঞ্চপ্যাডে কিছুদিন থাকার পরই সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করে জঙ্গিরা।
এই লঞ্চপ্যাডকে অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যবহার করে জঙ্গিরা। কারণ লঞ্চপ্যাডই হল অনুপ্রবেশের ঠিক আগের ধাপ। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের দাবি, লঞ্চপ্যাডে আসার পর জঙ্গিদে কভার দেয় পাক সেনা। অনেক ক্ষেত্রে সেনা ও বিএসফের নজর ঘোরাতে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি বৃষ্টি শুরু করে সেনা। আর সেই সুযোগেই সীমান্ত টপকে ভারতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা।
অর্থাৎ মঞ্চ থেকে যেমন পরিবেশিত হয় নাটক, তেমনই লঞ্চপ্যাড থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গিদের সেরকম ৭টি লঞ্চপ্যাডই উড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা।