প্রীতি ও নেসের সম্পর্ক ভাল থাকাকালীনই নেসের মা মাউরিন ওয়াদিয়া প্রীতিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমার ছেলে যতক্ষণ খুশি আছে, সে জিন্টা না জেব্রার সঙ্গে ডেট করছে, তাতে আমার কিছু এসে যায় না।’ তাতে অবশ্য সম্পর্কে প্রভাব পড়েনি। কিন্তু পরবর্তীকালে সম্পর্কে ভাঙন ধরে।
২০১৪ সালের ৩০ মে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএল-এ কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ চলাকালীন প্রীতি ও নেসের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। গারওয়ার প্যাভিলিয়নে প্রীতির সামনেই দলের এক কর্মীকে টিকিট বিলি নিয়ে বকাঝকা করছিলেন নেস। প্রীতি তাঁকে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু তাতে খেপে গিয়ে প্রীতির হাত ধরে টেনে তাঁকে মারেন নেস। এতেই শেষ নয়, প্রীতি জায়গা বদল করার পরেও তাঁকে গালিগালাজ করেন, মাঠে দলের সবার সামনে হেনস্থা করেন নেস। পুলিশের কাছে নিজের অভিযোগের স্বপক্ষে চারটি ছবিও জমা দেন প্রীতি। নেস অবশ্য এই অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
প্রীতি নিজের অভিযোগ নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে বারবার হুমকি পাওয়ার পর আমার আর কোনও উপায় ছিল না। আসল বিষয় হল, ধনী বা গরিব, পুরুষ বা মহিলা, সেলেব্রিটি হোক বা না হোক, কারও মারধর বা খারাপ ব্যবহার মেনে নেওয়া উচিত নয়।’
মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার রাকেশ মারিয়াকে চিঠি লিখে নেসের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ মে-র সেই ঘটনার পর থেকে ক্রমাগত খারাপ ব্যবহার করে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রীতি। তাঁর অভিযোগ, মুখে জ্বলন্ত সিগারেট ছুড়ে দেওয়া, ঘরে আটকে রাখা, মারধর সহ সবরকম খারাপ ব্যবহারই করেছেন নেস।
গত বছর অবশ্য আইপিএল-এ কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচে প্রীতি ও নেসকে একে অপরের সঙ্গে ভালভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। তবে মুম্বই পুলিশ চার্জশিট দেওয়ার পর যখন আদালতে শুনানি শুরু হবে, তখন ফের তাঁদের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।