মঙ্গলবার রাতে তুষার ধসে আটকে পড়ে ওই অ্যাম্বুলেন্স। সেটিতে করে চৌকিবালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মাসদুর আহমেদ নামে ১৫ বছরের এক কিশোরকে। সদ্য পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। তা ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সটিতে ছিলেন তাংধারের এক মহিলা, ২৪ বছরের ওয়াহিদ মীর। রক্তাল্পতায় ভোগা মহিলাটির সন্তান হবে যে কোনও মুহূর্তে। তাংধার তেহসিলের নাস্টাচাং পাসে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্স আটকে যায়।
ধসের জন্য অ্যাম্বুলেন্স সামনে এগোতে পারছিল না। পারছিল না পিছোতেও। সমুদ্রপূষ্ঠ থেকে ১০,০০০ ফুট ওপরে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে সম্পূর্ণ অচল অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল সেটি। বিপদ হওয়া অসম্ভব কিছু ছিল না কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেখানে এসে পড়ে সেনার একটি উদ্ধারকারী দল। সেনা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের রাস্তা সাফ করে দেয়, যাতে সেটি তাংধারে ফিরতে পারে। অসুস্থদের ওষুধবিষুধ দেওয়া ও চিকিৎসারও ব্যবস্থা করে তারা। কিছুক্ষণ পর নির্বিঘ্নে তাংধার রওনা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি।