নয়াদিল্লি: দিল্লিতে কেন তবলিগ জামাতকে ধর্মীয় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, প্রশ্ন তুললেন শরদ পওয়ার। কে ওই অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র দিয়েছিল, জানতে চেয়েছেন তিনি। এনসিপি সুপ্রিমোর বক্তব্য, দিল্লির সমাবেশের আগে মুম্বইয়ের কাছে একটি, সোলাপুর জেলায় আরেকটি-মহারাষ্ট্রে দুটি বড় সমাবেশের কথা ভাবা হয়েছিল। আগেভাগেই মুম্বইয়ের অনুষ্ঠানের অনুমতির আবেদন খারিজ করা হয়, রাজ্য প্রশাসনের পরামর্শ অগ্রাহ্য করায় সোলাপুরের অনুষ্ঠানের উদোক্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়। তাহলে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারলে দিল্লিতে একই ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি কেন খারিজ করা হল না, কে সবুজ সঙ্কেত দিল?


নিজামুদ্দিনের অনুষ্ঠানটি মিডিয়ায় যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তারও সমালোচনা করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, অকারণে মুসলিমদের ওই ঘটনায় টার্গেট করা হচ্ছে। দেশে কোভিড ১৯ সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধির সঙ্গে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে হওয়া নিজামুদ্দিন মারকাজে তবলিগ জামাতের সমাবেশের যোগ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু পওয়ারের প্রশ্ন, মিডিয়ার এ নিয়ে হাইপ তোলার এত দরকার হল কেন। দেশে একটি সম্প্রদায়কে অপ্রয়োজনে নিশানা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪০০-র বেশি কোভিড ১৯ সংক্রমণের ঘটনা, ও ১৫টি মৃত্যুর পিছনে গত মাসে তবলিগ জামাতে ধর্মীয় জমায়েতের দিকে আঙুল উঠেছে। অন্তত ৯ হাজার ভক্ত নিজামুদ্দিনের সমাবেশে যোগ দিয়েছিল। অনুষ্ঠানের পর তাদের অনেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে, তাদের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়ায়।

গত সপ্তাহে নিজামুদ্দিন ওয়েস্টে জামাতের সদর দপ্তরে ২১ দিনের লকডাউন উপেক্ষা করে ২৫০ বিদেশি সমেত ২৩০০ বেশি তবলিগ জামাত সদস্যকে পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।