নয়াদিল্লি: ভারত সফরে এসেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। কিন্তু তাঁর আতিথেয়তা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক-সবই হচ্ছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে নয়, গুজরাতের রাজধানী আহমেদাবাদে। এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। এই সফরকে কোনওভাবেই গুজরাতের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস।


কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, জাপানের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে এসেছেন। জাপানের সঙ্গে বহুক্ষেত্রেই ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে। কিন্তু এমন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর আতিথেয়তা রাজধানী দিল্লিতে নয়, আহমেদাবাদে করা হচ্ছে। এটা খুবই ‘আশ্চর্যজনক’।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে গুজরাতের ভোটের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিওয়ারি।

কংগ্রেস মুখপাত্র বলেছেন, যেহেতু গুজরাতের ভোট দোরগোড়ায় চলে এসেছে, তাই এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।

তিওয়ারি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে জাপানের দারুন সম্পর্ক রয়েছে। ইউপিএ সরকারের আমলেই এই সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয় এবং তা সুদৃঢ় হয়।

উল্লেখ্য, গতকাল দুদিনের ভারত সফরে আহমেদাবাদে পৌঁছছেন আবে। গতকাল বিমানবন্দর থেকে মোদীর সঙ্গে দীর্ঘ আটকিলোমিটার রোড শো করেন। আজ মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু মোদী সরকার যেভাবে মোকাবিলা করছে তারও সমালোচনা করেছেন তিওয়ারি। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদ যেভাবে ভারতের সমালোচনা করেছে তা ‘নজিরবিহীন’। ভারত এ ধরনের ‘বদনামে’র সম্মুখীন এর আগে হয়নি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে অবস্থান সরকার গ্রহণ করেছে তা ভারতের ঐতিহ্যের পরিপন্থী। ভারত বরাবরই প্রতিবেশী দেশগুলির নিগৃহীতদের আশ্রয় দিয়ে এসেছে। এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস মুখপাত্র বলেছেন, এনডিএ-বিজেপি সরকারের আত্মসমীক্ষা করার সময় এসেছে যে, শুধুমাত্র ভাষণ ও অন্য দেশের নেতাদের সঙ্গে রোড শো কূটনীতির বিকল্প হতে পারে না।