নয়াদিল্লি: স্ত্রী মারা যাওয়ার পর শ্যালিকাকে বিয়ে করতে নিজের কন্যাসন্তানকে খুন করল বাবা। এমনই ঘৃন্য ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে। পুলিশ ২৮ বছরের অভিযুক্ত ধরমবীরকে গ্রেফতার করেছে। সেইসঙ্গে তার ১৯ বছরের ভাইপোকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাইপো ধরমবীরকে নিজের সাত বছরের মেয়েকে খুনে সাহায্য করেছিল।

জানা গেছে, ধরমবীরের শ্যালিকা শর্ত দিয়েছিল যে, তাকে বিয়ে করতে গেলে ছেলে-মেয়েদের ছাড়তে হবে।

গত ১৭ জুলাই মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ধরমবীর। সেখানে চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে মা-হারা মেয়েটিকে। কিন্তু ধরমবীর এই ঘটনা নিয়ে কোনও অভিযোগ করার ধারপাশ দিয়ে যায়নি। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আউটার) এমএন তিওয়ারি এ কথা জানিয়েছেন।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ধরমবীর ও তার ভাইপো সঞ্জয় এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত। ডিসিপি জানিয়েছেন,   ধরমবীর দ্বিতীয় বিয়ের জন্য তার অন্য দুই সন্তানকেও হত্যার ছক কষেছিল। গতকাল ধরমবীর ও সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জেরায় ধরমবীর পুলিশকে জানিয়েছে, গত জুনে তার স্ত্রী হেপাটাইটিস-বি রোগের শিকার হয়ে মারা যায়। বিয়ের পর এক শ্যালিকার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ধরমবীর। সেই সময় ওই মহিলা শর্ত দেয়, ধরমবীরকে হয় তার সন্তানদের ছাড়তে হবে, নাহলে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। কারণ, সে ধরমবীরের আগের বিয়ের সন্তানদের দেখাশোনা করতে পারবে না।

শ্যালিকাকে বিয়ে করতে শেষপর্যন্ত মেয়েকে হত্যার ছক কষে ধরমবীর। ষড়যন্ত্রে সামিল হয় সঞ্জয়ও।