সুরাট: চেয়েছিলেন কাজের জন্য ভিন শহরমুখী স্বামীর সঙ্গী হতে। কিন্তু স্ত্রীর কথা মেনে নেননি স্বামী, বাপের বাড়ি থেকে তাকে ছোট কন্যাসন্তানের দেখভাল করতে বলেন। স্বামীর সেই অবজ্ঞা মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী। বিবাহের প্রতীককেই তাই বেছে নেন আত্মহত্যার পথ হিসেবে।

সিঁদুর খেয়ে আত্মহত্যা করেন ২৬ বছরের ওই মহিলা। সিঁদুরে সীসা ও পারদ আছে। তা পেটে যেতেই বিষক্রিয়ায় মারা যান তিনি। ঘটনা উত্তরপ্রদেশের দানপুর গ্রামের।


স্থানীয় সুরায়ভা থানার অফিসার প্রদীপ কুমার জানিয়েছেন, দানপুরের বাসিন্দা বিকাশ বিন্দ গুজরাতের সুরাতে কাজ করেন। লকডাউনে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। চারদিন আগে ফিরে যান। এবারে তিনি যাওয়ার সময়  স্ত্রী সরস্বতী সঙ্গে যাওয়ার আর্জি জানান। কিন্তু নিয়ে যেতে অস্বীকার করে তাঁকে ঘরে থেকে আড়াই বছরের মেয়ের দেখভাল করতে বলেন বিকাশ।


স্বামীর না নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা সরস্বতীকে মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাত দেয়। তাই আত্মহত্যা করার জন্য সিঁদুর খেয়ে ফেলেন তিনি। ঠিক কতটা সিঁদুর, খেয়েছিলেন, তা বলা মুশকিল। তবে সিঁদুর খাওয়ার পর শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেখানেই প্রাণ হারান উনি।


সিঁদুরে সীসা ও পারদ থাকার কারণে তা সরস্বতীর শরীরে যাওয়ার পর তৈরি হওয়া বিষক্রিয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা বিষয়টার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।