কিন্তু কেন কুয়ো খুঁড়তে গেলেন ওই ব্যক্তি? একটি সর্বভারতীয় ইংরাজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের বাশিম জেলার কলাম্বেশ্বর গ্রামের বাপুরাও নামে ওই ব্যক্তির স্ত্রী সঙ্গীতা মার্চ মাসে একদিন এক প্রতিবেশীর কুয়ো থেকে জল আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কুয়োর মালিক তাঁকে জল নিতে বারণ করে দেন। সঙ্গীতা বাড়ি ফিরে এসে এই অপমানের কথা জানান স্বামীকে। এরপরেই বাপুরাও ঠিক করে নেন, নিজেই কুয়ো খুঁড়ে ফেলবেন।
বাপুরাওয়ের কুয়ো খোঁড়ার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু প্রবল ইচ্ছাশক্তির বলেই প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে খুঁড়ে ৪০ দিনের মধ্যেই জল বের করে ফেলেন। এর আগে পর্যন্ত কারও সাহায্য নেননি। এমনকী স্ত্রীরও না। একাই অপমানের বদলা নিয়েছেন বাপুরাও। তবে এখন কুয়োর বাকি কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য স্ত্রী ও পরিবারের সবাই সাহায্য করছেন।
বাপুরাও বলেছেন, তিনি গরিব ও দলিত বলে গ্রামের অনেকেই অপমান করে। তিনি কারও সঙ্গে শত্রুতা চান না। তবে স্ত্রীর অপমানের পরেই ঠিক করে নেন, জলের জন্য কারও কাছে আর সাহায্য চাইবেন না। সেদিনই শাবল কিনে এনে কুয়ো খোঁড়ার কাজ শুরু করে দেন। পরিশ্রম সার্থক হওয়ায় তিনি খুশি।
স্বামী তাঁর অপমানের বদলা নেওয়ায় সঙ্গীতাও খুশি। তিনি স্বামীর সঙ্গে মিলে কুয়োটিকে আরও গভীর এবং চওড়া করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।