নয়াদিল্লি:  স্বামীর অত্যাচারে উত্যক্ত হয়ে তাঁকে খুন করল স্ত্রী। পরে সেই হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বলে চালানোর চেষ্টা ঘাতক স্ত্রীর।  সন্দেহ হওয়ায় স্ত্রীকে জেরা করতেই সামনে এল সত্যিটা।


৩২ বছর বয়সি শিল্পী অধিকারী, তাঁর স্বামীকে খুনের পর বুঝতে পারেননি তাঁর দেহ নিয়ে কী করবেন?  কাপাশেরা এলাকায় দুদিন মৃতদেহের সঙ্গেই কাটান শিল্পী। দুদিন বাদে প্রতিবেশীদের শিল্পী জানান, তাঁর স্বামীর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। শশ্মানে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন মহিলা। আচমকাই শেষকৃত্যের আগে একজনের নজরে আসে, মৃত ব্যক্তির গলায় ফাঁসের চিহ্ন। তারপরই ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ দেহ নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠালে, সেখানে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

এরপরই জেরায় সত্যিটা জানিয়ে দেন শিল্পী। ওই মহিলা জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ মদ খেয়ে এসে তাঁকে বেধড়ক মারধর করতেন তাঁর স্বামী। অসহনীয় হয়ে গিয়েছিল পরিস্থিতি। তখন তিনি পরিকল্পনা করে প্রচুর পরিমাণ মদ্যপান করিয়ে স্বামীকে বেহুশ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তারপর দেহ নিয়ে কী করবেন ভেবে না পেয়ে দুদিন বাদে হৃদরোগে আক্রান্তের কথা বলে সকলকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন ওই মহিলা। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা শিল্পীর দুটি সন্তান রয়েছে। তারা মামাবাড়িতে থাকে।