নয়াদিল্লি: সাজা মাথা পেতে নিতে নারাজ কানহাইয়া কুমার ও তাঁর সঙ্গীরা। জেএনইউ ক্যাম্পাসে গত ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত অনুষ্ঠানের জন্য জরিমানার পাশাপাশি হস্টেলও ছাড়তে বলা হয়েছে তাঁদের। কিন্তু সেই নির্দেশ তাঁরা মানবেন না, জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। বলেছেন, জরিমানা দেবেন না, হস্টেলও ছাড়বেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া বলেছেন, যেদিন তথাকথিত কমিটি তৈরি হয়, সেদিনই আমরা তাকে গণতান্ত্রিক, পক্ষপাতদুষ্ট আখ্যা দিয়েছি। সুতরাং তার তদন্তের ভিত্তিতে রিপোর্টের ওপর দেওয়া সাজাও মেনে নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।


কানহাইয়া, উমর খালিদ, অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে ফেব্রুয়ারি মাসে জেএনইউ ক্যাম্পাসে সংসদ জঙ্গি হানায় দোষী ও ফাঁসি হওয়া আফজল গুরুর সমর্থনে সভার আয়োজন নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁরা জামিনে জেলের বাইরে রয়েছেন এখন। গতকালই কানহাইয়ার ১০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি উমর ও অনির্বাণকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। অনির্বাণ ৫ বছর কোনও কোর্সও করতে পারবেন না। ১৩ জন পড়ুয়াকে বিভিন্ন সাজা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কানহাইয়া আজ বলেন, আমরা ঠিক করেছি, কেউ জরিমানা দেবে না। হস্টেলও ছাড়বে না। আমাদের দাবি, সাজা তুলে নিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই তদন্ত প্যানেলে ভরসা নেই আমাদের। তা নতুন করে গঠন করা হোক। কানহাইয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে সংসদের সহ সভাপতি শেহলা রশিদ সোরা জানান, কাল থেকে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসছেন। তার আগে তাঁরা প্রতিবাদ মিছিল বের করবেন। তিনি এও বলেন, গরমের ছুটি পড়েছে। তাই হিসাব কষেই সাজা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে আমরা মাথা নোয়াব না। লড়াই চলবে।