পটনা: বিজেপির হাত ধরায় তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ও কংগ্রেসের তোলা বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ খারিজ করে দিলেন নীতীশকুমার। পাল্টা তোপ দেগে তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে অপরের জ্ঞান শুনতে রাজি নই। ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা করতে হয়। কিন্তু যারা ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে পাপ করছে, অসদুপায়ে সম্পত্তি করছে, তাদের সঙ্গে থাকতে পারব না।


বিহার বিধানসভায় নতুন সরকারের হয়ে আস্থাপ্রস্তাব পেশ করে লালুপ্রসাদ যাদবকে কটাক্ষ করে নীতীশ বলেন, জনমত পেয়েছিলাম মানুষের সেবা করার, মুনাফার নয়। ম্যানডেট জনতা কি সেবা করনে কে লিয়ে থা, না কি রাজভোগ, মেওয়া কে লিয়ে। জনতার আদালতই দেশের সবচেয়ে বড় আদালত। তাদের সেবা করাই আমার কর্তব্য, কোনও পরিবারের সেবা করা নয়।

এদিন বিরোধী নেতা হিসাবে বিতর্কের সূচনা করে লালুর ছেলে তেজস্বীপ্রসাদ যাদব নীতীশের বিরুদ্ধে বারবার ধোঁকাবাজির অভিযোগ তোলেন।

তবে নীতীশ ২৬ জুন জেডি (ইউ), আরজেডি ও কংগ্রেসের 'মহাগটবন্ধন' ছাড়ার আগের ঘটনাবলীর বিবরণ দিয়ে বলেন, আমি তেজস্বীর কাছে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি নিজের অবস্থানের কোনও ব্যাখ্যা দেননি। এতে তাঁর পক্ষে সরকার চালানোয় অসুবিধা হচ্ছিল, সেজন্যই তিনি আরজেডি-র সঙ্গে সংশ্রব ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন।

নীতীশ বলেন, বিহার ও তার উন্নয়নের স্বার্থ যাতে সবচেয়ে সুরক্ষিত হয়, সেজন্যই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন কেন্দ্র, রাজ্য, দু জায়গাতেই এনডিএ-র সরকার, ফলে বিহার উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে যাবে।

আরজেডি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে নীতীশ বলেন, এই লোকগুলো 'ঔদ্ধত্য ও বিভ্রান্তি'র মধ্যে রয়েছে। তিনি বিধানসভার ভিতরে, বাইরে ওদের সামনে আয়না তুলে ধরে সেটা দেখিয়ে যাবেন বলে জানিয়ে দেন নীতীশ।

তাঁর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় কংগ্রেস সম্পর্কেও নীতীশ নাম না করে বলেন, ২০১৫-র ভোটে লালু যাদব ওদের ১৫-২০টার বেশি আসন ছাড়তে চাননি, তিনিই ওদের ৪০টা আসনে লড়তে সাহায্য করেন, যার মধ্যে ২৭টিতে ওরা জেতে।