সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার পরই ও পনীরসেলভমকে দল থেকে বহিষ্কার করেন শশীকলা।
বিধায়কদের বৈঠক ডেকে রাজ্যের বর্তমান পূর্তমন্ত্রী ই পলানিস্বামীকে এআইএডিএমকের পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হয়।
এরপরই পলানিস্বামী সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু, সরকার গড়ার দাবি তো শশীকলাও আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে। পনিরসেলভমও রাজ্যপালের কাছে গিয়ে জানিয়ে এসেছেন, তাঁকে চাপ দিয়ে পদত্যাগ করানো হয়েছে। কিন্তু, তারপরও রাজ্যপাল কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এবার কী করবেন তিনি?
শশীকলা মনোনীত পলানিস্বামীকে কি বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার সুযোগ দেবেন রাজ্যপাল? না কি কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ও পনীরসেলভমকে শক্তিপরীক্ষার সুযোগ দেবেন তিনি?
সূত্রের খবর, ও পনীরসেলভম এবং শশীকলা শিবিরের নেতা পালানিস্বামী, দু’জনকে একসঙ্গে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা দিতে বলতে পারেন রাজ্যপাল।
১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় জগদম্বিকা পাল এবং কল্যাণ সিংহ একসঙ্গে শক্তিপরীক্ষা দিয়েছিলেন।
বর্তমানে এআইডিএমকের মোট বিধায়ক সংখ্যা ১৩৪। শশীকলা শিবিরের দাবি, ১২৪জন এআইএডিএমকে বিধায়ক এখনও তাদের দিকে। উল্টোদিকে পনীরসেলভমের দিকে মাত্র ১০জন বিধায়ক।
কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরেই একাধিক এআইডিএমকে সাংসদ ও বিধায়ক পনীরসেলভমের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আর কজন বিধায়ক শশীকলার দিকে থাকবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। প্রতি মুহূর্তে চলছে শিবির বদলের জল্পনা।
আস্থা ভোট হলে কংগ্রেস ও ডিএমকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বিরোধী দল করুণানিধির ডিএমকে পনীরসেলভমের পাশে রয়েছে।সূত্রের খবর, কংগ্রেসও শশীকলার পাশে দাঁড়াবে না।
সতর্কতার সূরে কংগ্রেস বলছে, বিজেপি যাতে কোনওভাবেই সরকার ভাঙা-গড়ার খেলায় রাজভবনকে কাজে না লাগায়।
সরাসরি না বললেও পনিরসেলভমের হয়ে মোদি সরকার ব্যাট করছে বলে আড়ালে-আবডালে অভিযোগ করতে শুরু করেছে শশীকলা শিবির। যদিও, বিজেপি বলছে, এতে তাদের কোনও হাত নেই।
কে কাকে দল থেকে বের করল, রাখল সেটা এখন বড় বিষয় নয়! আসল হল কে সরকার গড়বে! কার হাতে বেশি Gবিধায়ক আছে! সেই হবে এমজিআর-জয়ললিতার দলের আগামীর শীর্ষনেতা।