কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ শরিক দলটি বলেছে, আজকাল জনসভায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বললেই হাততালি পড়ছে। কিন্তু এই হাততালি কুড়োনোর মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনের আগ্রাসনের দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়ার সময় হয়েছে। লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমে বছরের পর বছর ধরে অবাধে চিনা অনুপ্রবেশ হয়েই চলেছে। চিনকে ঠেকাবে কে, সেটাই আসল কথা। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে চালানো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো একই ধরনের অভিযানের মাধ্যমেই চিনকে, মুখের মতো জবাব দেওয়া যায়। এমন অভিযান হবে কি?
বুধবার থেকে লাদাখের ডেমচক এলাকায় ভারতীয় ও চিনা সেনারা পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেখানে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) জওয়ানরা নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে এমএনআরইজিএ প্রকল্পে জলসেচের নালা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বলে খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দলের মুখপাত্র সামনা-য়। তাতে বলা হয়েছে, প্রায় ৬০ জন চিনা জওয়ান আমাদের ভূখণ্ডে ঢুকে উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এ থেকে আমাদের কী বুঝে নিতে হবে। সামনা-র সম্পাদকীয়তে মনোহর পর্রীকরকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, লম্বাচওড়া কথা বলা আমাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, চিনা বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের জওয়ানরা কী পদক্ষেপ করেছে? শিবসেনার সংযোজন, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেওয়াই যথেষ্ট নয়। চিন সীমান্ত সুরক্ষিত রাখাও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব।