শ্রীনগর: কাশ্মীর উপত্যকায় আজকের সর্বদলীয় বৈঠকের ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে এক সাক্ষাৎকারে হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনের হুমকি কোনওধরনের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক চুক্তি বাস্তবায়িত হতে দেব না এখানে। সালাউদ্দিন এক হুমকি বার্তায় বলেছে, যত বেশি সংখ্যক কাশ্মীরিকে আত্মঘাতী হামলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্যে উপত্যকা একটি সমাধিক্ষেত্রে পরিণত হবে।

ভারতের তালিকায় থাকা মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে সালাউদ্দিন। তার দাবি কোনওধরনের আলোচনার মাধ্যমেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। একমাত্র জেহাদই এখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।

মুজ্জাফরাবাদে নিজের দফতরে বসে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় হিজবুল প্রধান বলে, কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের, সাধারণ নাগরিককে বুঝতে হবে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হওয়া আর সম্ভব নয়। একটি লক্ষ্য স্থির করে অস্ত্র আন্দোলনে নামতে হবে কাশ্মীরিদের।

এদিকে আজই সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনার জন্যে সেখানে গিয়ে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুমাস আগে উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের মুখ বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই সেখানকার পরিস্থিতি অশান্ত। কার্ফু জারি রয়েছে উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলে। ব্যাহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও।

সালাউদ্দিনের কথায়, কাশ্মীরিদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। ভারত কাশ্মীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে যত বেশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে, তত বেশি শক্ত হবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলন, দাবি হিজবুল প্রধানের। ভারত যতদিন না কাশ্মীর সমস্যাকে স্বীকৃতি দেবে, ততদিন চলবে এই আন্দোলন, দাবি ৬৯ বছর বয়সি এই নেতার।

গতমাসেই কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিল এই নেতা। এদিকে হিজবুল প্রধান এদিন ইসলামাবাদকেও মনে করিয়ে দিয়েছে, নীতিগতভাবে, রাজনৈতিকভাবে, সাংবিধানিক দিয়ে পাকিস্তান বাধ্য কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলনকে সমর্থন করার বিষয়।

এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জারি রয়েছে কার্ফু। এই পরিস্থিতিতেই আজ সেখানে সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন রাজনাথ সিংহ সহ অন্য নেতারা।