নয়াদিল্লি: নোটকাণ্ডে এদিনও উত্তাল সংসদ। লোকসভায় নোট বাতিল ইস্যুতে বিরোধীদের তোপের মুখে সরকার। অন্যদিকে, অগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড চপার ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে কংগ্রেসকে নিশানা করেন শাসক বিজেপি দলের সাংসদরা।  সরকার-বিরোধী চাপানউতোরের জেরে বারেবারেই মুলতুবী করে দিতে হয় লোকসভার অধিবেশন।


এদিন দুই প্রাক্তন সদস্যের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরই সরকার ও বিরোধী-উভয় পক্ষের সদস্যরাই স্লোগান-পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন। কংগ্রেস, তৃণমূল ও বাম সহ বিরোধী সাংসদরা নোট বাতিল ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানান। এর পাল্টা হিসেবে ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যরা অগুস্তা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব হন। তাঁরা সংবাদপত্রের কাটিং তুলে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্বতন ইউপিএ জমানায় এই চপার কেনাবেচার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন ঘুষ নিয়েছিলেন।

লোকসভার অধ্যক্ষ খবরের কাগজ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে বারণ করলেও কেউ কর্ণপাত করেননি। হৈহট্টগোলের জেরে প্রথমে বারোটা পর্যন্ত, পরে দিনের মতো সভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ।

এরইমধ্যেই বিরোধীরাও নোট বাতিল নিয়ে আলোচনা চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে নোট বাতিল ইস্যুতে সরকার-বিরোধী চাপানউতোরের জেরে কার্যত লোকসভা অচল হয়েই রয়েছে।

একইভাবে নোট বাতিল ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি রাজ্যসভাতেও। রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ নোটকাণ্ডের জেরে কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবি জানান। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। তুমুল হই-হট্টগোলে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। কংগ্রেসকে পাল্টা চাপে রাখতে অগুস্তা-ওয়েস্টল্যান্ড কপ্টারকাণ্ডে দুর্নীতি নিয়ে সংসদে আলোচনা চায় বিজেপি। এদিকে, সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ জানাতে আগামীকাল সময় চেয়েছে বিরোধীরা।