নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের মুখের মতো জবাব দিল পড়ুয়ারা। কাশ্মীর উপত্যকায় গত কয়েক মাস ধরে স্কুলগুলি বন্ধ ছিল, ৩০টির বেশি স্কুল পুড়ে ছাই হয়েছে।  কিন্তু সেখানেই গতকাল দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসেছে জম্মু কাশ্মীর, লে ও লাদাখ  মিলিয়ে প্রায় ৯৫ শতাংশ পড়ুয়া। এটাই এক রকমের জোরালো 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' বলে মন্তব্য করলেন প্রকাশ জাভরেকর। ওরাই জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে, বলেছেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী।

এটা 'ভারতের জবাব' বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এই দেশ শিক্ষা, প্রগতিতে বিশ্বাস করে। দেশকে ভেঙে টুকরো করার কোনও চেষ্টাই সফল হবে না, পড়ুয়াদের ব্যাপক সংখ্যায় পরীক্ষায় বসা থেকে সেই বার্তাই দেওয়া গিয়েছে।

সেইসঙ্গে জাভরেকর বলেন, ওই বাচ্চারা, তাদের অভিভাবকরাই ভারতের শক্তি। ওদের নিয়ে আমি গর্বিত। শিক্ষাই অগ্রগতির মাধ্যম। ওরা এটা বুঝেছে, সন্ত্রাসবাদীদের যোগ্য প্রত্যুত্তর দিয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দেখেছি। কিন্তু পড়ুয়ারা যে জবাব দিল, সেটাও এক ধরনের জোরালো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।

এখানে আয়োজিত কলা উত্সবের ফাঁকে তিনি এও জানান, ২০১৭-১৮র পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকেই সিবিএসই পড়ুয়াদের  ক্ষেত্রে ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হচ্ছে।  বলেন, এ নিয়ে কোনও বিভ্রান্তির অবকাশই নেই। বর্তমানে রাজ্যের বোর্ডগুলির মাধ্যমে দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসছে ২ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি পড়ুয়া। সিবিএসই-র অর্ধেক পড়ুয়া পরীক্ষায় বসছে, বাকি অর্ধেক বসে না, তাদের সামনে পরীক্ষা না দেওয়ার অপশন থাকায়।  এবার পরীক্ষায় না বসা সেই ২০ লক্ষ ছেলেমেয়েকেও পরীক্ষায় বসতে হবে।