নয়াদিল্লি:  নোট বাতিলের পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার যে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা শিথিল করার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে তুলে নেওয়া টাকার ৮০ শতাংশ বাজারে ফেরানোর পরই প্রথমে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে এই সীমা শিথিলের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এক পদস্থ সরকারি আধিকারিক।

তিনি জানিয়েছেন, প্রায় অর্ধেক অর্থাত্ সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকা যোগানের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এরফলে ব্যাঙ্কগুলিতে মানুষের ভিড় অনেকটাই কমেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। একমাত্র উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের ব্যাঙ্কগুলিতে মানুষের ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই দুটি রাজ্যেই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন।

ওই আধিকারিক বলেছেন, টাকা তোলার সীমা প্রথমে  সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে শিথিল করা হবে। এরপর অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতে তা কার্যকর করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেন। এরপর থেকে নতুন ২০০০ ও ৫০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে বাজারে যোগানের কাজ শুরু হয়।

নোট বাতিলের প্রক্রিয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে, সেইসঙ্গে এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও এক গ্রাহক বর্তমানে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার টাকা এবং এটিএম থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক আড়াই হাজার টাকা করে তুলতে পারেন।

৮ নভেম্বরের হিসেবে যে নোট বাতিল করা হয়েছিল তা দেশের মোট টাকার ৮৬ শতাংশ অর্থাত্ ১৫ লক্ষ কোটি টাকা।

ওই সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন নোট যোগানের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে।

নোট বাতিলের ঘোষণার আগে সরকার ২০০ কোটি ২০০০ টাকার নোট ছাপার বন্দোবস্ত করেছিল। অর্থাত্ নতুন ২০০০-এর নোটে ৪ লক্ষ কোটি টাকা ছাপানোর ব্যবস্থা করা হয়। নোট বাতিলের পর সেগুলিই প্রথমে ছাড়া হয়।

এরপর ৫০০ টাকার নোট চালু হয়।