নয়াদিল্লি: দিল্লি থেকে ধরার চেষ্টা করছিল কাবুলের বিমান। ইচ্ছে ছিল, সেখানে গিয়ে আইএসে নাম লেখাবে। ‘ধর্মযুদ্ধে’ সামিল হয়ে বিশ্বময় শরিয়তি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু বাদ সাধল পুলিশ। আইএসের দ্বারা মগজধোলাই হওয়া বিহারের ২৮ বছরের ইয়াসমিন মহম্মদের ঠিকানা তাই আপাতত শ্রীঘর। ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছে সে।


পুলিশ সন্দেহ করছে, এই মহিলার সঙ্গে আইএসে যোগ দিতে কেরল থেকে বেপাত্তা হওয়া ২১জনের সম্পর্ক রয়েছে। ইয়ামিনকে তালাক দিয়েছে তার স্বামী। তবে মনে করা হচ্ছে. ২১জনকে কেরল থেকে আইএসে যোগ দিতে পাঠানো আবদুল রশিদের সে প্রথম স্ত্রী। আফগানিস্তান থেকে রশিদই ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পুলিশ আগেই জানতে পেরেছিল, ওই মহিলা দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কাবুলের বিমান ধরবে। জানা গেছে, ‘প্রকৃত’ ইসলামের স্পর্শ পেতে সে আইএসে যোগ দিতে চেয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসেই বাচ্চাকে নিয়ে পাটনা থেকে দিল্লি এসে পৌঁছয় ইয়াসমিন। প্রথমে তাকে আটকানো হয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে, সেখানে সে হাঙ্গামা শুরু করে। তারপর তুলে দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের হাতে। দিল্লি পুলিশ আবার তাকে কেরল পুলিশের জিম্মায় দিয়েছে। কেরল থেকে যারা আইএসে যোগ দিতে গেছে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় কেরল পুলিশও এই ইয়াসমিনকে খুঁজছিল। এর জন্য লুকআউট নোটিশও জারি করে তারা। আবদুল রশিদই তাকে কট্টরপন্থায় ঝুঁকতে উৎসাহিত করে বলে খবর। ইয়াসমিনের অবশ্য দাবি, কোরান হাদিস মেনে জীবনযাপন করতেই দেশ ছেড়ে আইএসে যোগ দিতে যাচ্ছিল সে।