মহিলার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাকে খুন করার আগে, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তাঁর গোপনাঙ্গ থেকে বিয়ারের বোতল, কোল্ড ড্রিঙ্কসের ক্যান উদ্ধার করেন চিকিত্সকরা। এগুলো ঢোকানোর ফলে তাঁর মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়। মনে করা হচ্ছে, এর জেরেই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। শুধু গোপনাঙ্গে নয়, মহিলার মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে ডাক্তাররা। চিকিৎসকদের ধারণা, খুব সম্ভবত মহিলার মাথা দেওয়ালের সঙ্গে ঠুকে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মহিলার দেহ উদ্ধাররে পর, যাঁর সঙ্গে ওই মহিলা থাকতেন, সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যখন ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তিনিও নেশার ঘোরে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, পুলিশি জেরায় ওই ব্যক্তি জানায়, ওই মহিলা তাঁর স্ত্রী ছিলেন। প্রথম দুজন স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তৃতীয় স্ত্রী রহস্যজনক ভাবে মারা যান। মৃত মহিলা ছিলেন ওই ব্যক্তির চতুর্থ স্ত্রী। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি সন্দেহ করতেন, মহিলার সঙ্গে অপর এক প্রতিবেশীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। আশ্চর্যজনক ভাবে মহিলার মৃত্যুর পর থেকে সেই প্রতিবেশীও নিখোঁজ। খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।