পুলিশ জানিয়েছে, সেখানকার রেনি গ্রামের জনৈক জগন্নাথের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই মহিলার। অভিযোগ, গত বছরের জানুয়ারিতে বিয়ের পর থেকেই ৫১ হাজার টাকা পণ চেয়ে তাঁর ওপর অত্যাচার শুরু হয় শ্বশুরবাড়িতে।
এক পুলিশ কর্তা বলেছেন, মহিলার স্বামী ও দেওররা তাঁকে ধর্ষণ করেই থামেনি। অভিযোগ, তারা তাঁর কপাল, হাতে উল্কি কেটে লিখে দেয়, যে পণ না দেওয়ার জন্যই এমন সাজা! আরও নোংরা কথাবার্তাও বসিয়ে দেওয়া হয় উল্কি এঁকে। এ ঘটনার পর বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যান মহিলা। তাঁর বাবা-মা সেই দাগ তোলার চেষ্টা করলেও তা রয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা থানার এসএইচও আবদুল ওয়াহিদ।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ (পারিবারিক হিংসার হাত থেকে মহিলাদের রক্ষা), ৩৭৬ (ধর্ষণের জন্য সাজা) ও ৪০৬ (ফৌজদারি আস্থা ভঙ্গের অভিযোগে সাজা) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনও গ্রেফতারি হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী মানেকা গাঁধী বলেছেন, আমি মর্মাহত। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছি জাতীয় মহিলা কমিশনকে।