জব্বলপুর: বাবার অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা ১৯ বছরের তরুণী কন্যার। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক বিজেপি নেতা ও অন্য কয়েকজন লোক প্রকাশ্যে ওই তরুণীর বাবাকে নিগ্রহ করে। সেই ঘটনার ভিডিও প্রথমে হোয়াটস্যাপ, পরে অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই কলেজ পড়ুয়া তরুণী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জব্বলপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ তরুণীর বয়ান রেকর্ড করেছে। নিজের বয়ানে ওই তরুণী জানিয়েছেন, জব্বলপুরের বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের নেতা মহম্মদ শফি ওরফে হীরা তাঁর ৪৮ বছরের বাবাকে নিগ্রহ করেন। পিঠে জলের বোতল রেখে ঝুঁকে দাঁড় করিয়ে কীভাবে তাঁর বাবাকে শফি 'শাস্তি' দিয়েছেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। শফি ওই ঘটনার কম করে তিনটি ভিডিও তুলে হোয়াটস্যাপে আপলোড করেন। ওই তরুণী জানিয়েছেন, ওই ভিডিওটি তাঁর অনেক বন্ধুর চোখেও পড়েছে। বাবার এই অপমান সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
নিগৃহীতর স্ত্রী জানিয়েছেন, মেয়ে কলেজে গিয়ে ভিডিওটির কথা জানতে পারে। তারপরই বাড়িতে ফিরে বিষ পান করে। তিনি দোষী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
যদিও শফির সাফাই, ওটা কোনও নিগ্রহ নয়। নিছক মজা করতেই তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা ওই কাজ করেন। তাঁর সঙ্গীদের একজন ওই তরুণীর বাবার সঙ্গে 'মুর্গা' অবস্থানে একশ টাকার একটি নোট মুখে করে তোলার বাজি ধরেন। কিন্তু ঘটনার কথা জানতে পেরে তিনি তাঁর সঙ্গীদের বকাঝকা করেন।
শফির দাবি, কংগ্রেসের লোকেরাই ওই ভিডিও ভাইরাল করেছে। এলাকার বহু মুসলিম কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। এতেই হতাশ হয়ে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতে কংগ্রেস এই কাজ করেছে।
যদিও নিগৃহীত বলেছেন, বাড়িতে ধূমপান করায় তিনি শফির ভাইকে বকেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শফির ভাই তাঁর মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। সেই মোবাইল ফেরত নিতে গেলে শফি ও তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে মারধর ও নিগ্রহ করেন।
বিজেপি এই ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে।অন্যদিকে, কংগ্রেস অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি দাবি জানিয়েছে।