রায়পুর:  আরও এক অমানবিক ঘটনা। গর্ভেই পাঁচদিন থাকল মৃত ভ্রুণ। সংক্রমণে মৃত্যু হল ছত্তিশগঢ়ের কোরবা জেলার এক অন্তঃস্বত্ত্বার। অভিযোগ, চিকিত্সার টাকা যোগাড় করতে না পারায় বেসরকারি হাসপাতাল তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। গত সোমবার তাঁর স্বামী তাঁকে তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কোনও হাসপাতালই ভর্তি নেয়নি ওই অন্তঃস্বত্ত্বাকে। ওই দম্পতিকে প্রথমে রক্ত ও চিকিত্সার ফি সংগ্রহ করতে বলা হয়।


ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ছত্তিশগঢ়ের মহিলা কমিশন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

কোরবা জেলার কোড়িবাহার এলাকার বাসিন্দা গুলাবদাস মহান্ত অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী সরস্বতীর পেটে যন্ত্রনা শুরু হয়। স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যান গুলাবদাস। সেখানে স্ক্যানে ধরা পড়ে যে সরস্বতীর গর্ভের আটমাসের ভ্রুণ মারা গিয়েছে। যমুনাদেবী মেমোরিয়াল ম্যাটারনিটি হাসপাতালের চিকিত্সকরা ওই মৃত ভ্রুণ পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন। এ জন্য ১০ হাজার টাকা ও তিন ইউনিট রক্তের যোগাড় করতে বলা হয়।

কিন্তু সরস্বতীর স্বামী ওই টাকা ও রক্ত যোগাড় করতে সক্ষম হননি। নিরুপায় হয়ে ফের ওই হাসপাতালেই যান তাঁরা। কিন্তু আগাম ফি-এর টাকা আগাম জমা না নিয়ে সরস্বতীকে ভর্তি করতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এরইমধ্যে সরস্বতীর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে চিকিত্সকরা তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। গুলাবদাস স্ত্রীকে নিয়ে নিকটবর্তী কৃষ্ণ হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখানে বলা হয় যে, সরস্বতীর অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তাই তাঁকে ভর্তি করা সম্ভব হবে না।

এরপর গুলাবদাস স্ত্রীকে সৃষ্টি হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিত্সকরা জানান যে, মঙ্গলবার সরস্বতীর অস্ত্রোপচার হবে। কিন্তু তার আগে সোমবার রাতেই মারা যান সরস্বতী।

শোকার্ত গুলাবদাস এই ঘটনায় চিকিত্সক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।