কানপুর: প্রেমিকার সঙ্গে নিজের গাড়িতে বসে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করছেন এক বিবাহিত ব্যক্তি। মেন্যুতে রয়েছে ধোসা। কিন্তু বিধি বাম। ঘটনাটি দেখে ফেললেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। একেবারে হাতেনাতে বরের কীর্তি ধরে ফেললেন। অগত্যা গার্হস্থ্য সমস্যা পৌঁছল দারোগার দোরগোড়ায়। পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ক্ষুব্ধ স্ত্রী। তবে অভিযোগ নিল না পুলিশ। বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক এখন তো বৈধ!


একজন মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার জন্য পুলিশে যোগাযোগ করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, ওই ব্যক্তি তাঁর গাড়িতে প্রেমিকার সঙ্গে ধোসা খাচ্ছিলেন। তবে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক যেহেতু এখন আর ভারতে অপরাধযোগ্য নয়, তাই কোনও মামলা দায়ের করতে পারেননি ওই ব্যক্তির স্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ওই মহিলার স্বামী উত্তরপ্রদেশের রাজ্য সরকারের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, তিনি তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে যান। পরে মন্দিরের বাইরে দুজনে মিলে প্রাতঃরাশ সারতে যান। ধোসা কিনে গাড়িতে বসেই খাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই তাঁদের দেখে ফেলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। তিনি নিজের ভাইয়ের সঙ্গে দুজনকে হাতেনাতে ধরেন। তারপর পাশেই অবস্থিত পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান দুজনকে। যদিও হতাশ হয়ে ফিরতে হয় ওই মহিলাকে। কারণ পুলিশ তাঁকে জানায়, পরকীয়ার বিরুদ্ধে তাঁরা আইনত কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেন না। কারণ ব্যাপারটা এখন আর আইনের চোখে নিষিদ্ধ নয়।

প্রসঙ্গত, পরকীয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে সেনাবাহিনীতে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ হিসেবেই রাখা হোক— কেন্দ্রের এই আর্জি শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের এই আবেদন বিচার করে দেখার জন্য প্রধান বিচারপতির এস এ বোবদের কাছে পাঠিয়েছে ২ বিচারপতির বেঞ্চ। নোটিস পাঠানো হয়েছে মামলাকারীকেও।২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী পরকীয়া ছিল শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই আইন অনুযায়ী কোনও পুরুষ অন্য কোনও বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তা ছিল দণ্ডনীয় অপরাধ। সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান ছিল ওই আইনে।