পুনে: স্বামী চিকিৎসক। আর সেই সুযোগে স্ত্রীর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ঢুকিয়ে দিয়েছেন তিনি। ২৭ বছরের এক তরুণী এমনই অভিযোগ করেছেন। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

পুনের ওয়াকড় থানায় মহিলা অভিযোগ করেছেন, ২০১৫-তে বিয়ের পর থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক স্বামী ও শ্বশুর, শাশুড়ি পণ চেয়ে তাঁর ওপর অত্যাচার করতেন।  গত বছর অক্টোবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বাড়িতেই স্বামী স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ বছর ফেব্রুয়ারীতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি নানা শারীরিক পরীক্ষা করান। তাতে দেখা যায়, তিনি এইচআইভি পজিটিভ।

তাঁর অভিযোগ, স্বামীই স্যালাইনের মাধ্যমে তাঁর শরীরে এইডস ভাইরাস ঢুকিয়েছেন, আর এখন ডিভোর্স চাইছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী স্ত্রী উভয়েরই এইচআইভি পরীক্ষা করিয়েছে তারা, দেখা গিয়েছে, দুজনেই এইচআইভি আক্রান্ত। কিন্তু অন্য একটি পরীক্ষাগারের রিপোর্ট বলছে, শুধু মহিলার শরীরেই এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে। বিষ প্রয়োগে ক্ষতি করা ও পণের দাবিতে অত্যাচার সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেছে তারা, চিকিৎসকদের মতামতও চেয়েছে। তবে এখনও এই মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।