লখনউ: একই সঙ্গে সাত পাকে বাধা পড়লেন মা ও মেয়ে। মায়ের বয়স ৫৩ বছর। মেয়ের বয়স ২৭ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে।


গোরক্ষপুরেরর পিপ্রোলি ব্লকে বৃহস্পতিবার গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। "মুখ্যমন্ত্রী সামুহিক বিবাহ যোজনা"য় ৬৩ যুগলের বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয়। সেখানে একসঙ্গে বিয়ে করলেন মা ও মেয়ে।


২৫ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন বেলি দেবী। তিন মেয়ে ও দুই ছেলেকে বড় করেছেন একাই। সকলেই এখন বিবাহিত। এদিন ছোট মেয়ে ইন্দুকেও বিয়ে দিয়েছেন।


জীবনের দায়িত্ব, কর্তব্য সেরে নিজেও নতুন করে শুরু করতে চান। বেছে নিয়েছেন জীবনসঙ্গী। দেওরকে বিয়ে করেছেন বেলি দেবী। তিনি জানিয়েছেন স্বামীর চেয়ে ছোট হলেও, জগদীশ তাঁর চেয়ে বড়।


৫৫ বছরের জগদীশকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে কোনও অসুবিধা নেই তাঁর। বেলি দেবী বলেছেন, ’’জগদীশ কৃষি কাজ করেন। এখনও বিয়ে করেননি। আমার দুই মেয়ে, দুই ছেলে বিবাহিত। ছোট মেয়েরও বিয়ে দিয়ে দিলাম। আমি আমার দেওরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। আমার ছেলেমেয়েরা সবাই খুশি।‘‘


ছেলেমেয়েরা যে সত্যিই খুশি তা স্পষ্ট ইন্দুর কথাতেও। ২৯ বছরের রাহুলকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের মণ্ডপে ইন্দু বলেছেন, ’’আমার মায়ের বিয়ে নিয়ে দাদা-দিদিদের কারও কোনও সমস্যা নেই। সবাই সব মেনে নিয়েছে।‘‘


ইন্দু আরও জানিয়েছেন বাবা চলে যাওয়ার পর তাঁদের মা ও কাকা তাঁদের দেখভাল করেছেন। নিজেদের অনেক সখ-ইচ্ছে বাদ দিয়ে তাঁদের ভাইবোনেদের কিসে ভাল হবে, সে সব দিকে খেয়াল রেখেছেন আজীবন, ফলে আজ যদি তাঁরা নিজেরা ভাল থাকেন, তাহলে তাঁরাও সবাই ভাল থাকবেন বলে জানিয়েছেন সদ্য বিবাহিতা ইন্দু।