অসমে বিদেশি চিহ্নিত করে মহিলাকে পাঠানো হল ডিটেনশন সেন্টারে
Web Desk, ABP Ananda | 28 Jun 2019 08:22 PM (IST)
২০০৬ সালে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে ওই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে জোরহাট সীমান্ত পুলিশ। কিন্তু সেই থেকে এতগুলি বছর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে জোরহাট থানার অধীন ফয়সলি এলাকায় তাঁর সন্ধান পায় পুলিশ।
জোরহাট: অসমে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) আপডেট করার প্রক্রিয়া চলছে। ৩১ জুলাই চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হওয়ার কথা। তার মধ্যেই ৪০ বছর বয়সি এক মহিলাকে বিদেশি বলে ঘোষণা করল জোরহাটের বিদেশি ট্রাইব্যুনাল। সমীরন বিবি নামে শনাক্ত হওয়া ওই মহিলাকে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ২০০৬ সালে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে ওই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে জোরহাট সীমান্ত পুলিশ। কিন্তু সেই থেকে এতগুলি বছর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে জোরহাট থানার অধীন ফয়সলি এলাকায় তাঁর সন্ধান পায় পুলিশ। তিনি সেখানে স্বামী ইজরায়েল খানের সঙ্গে ছিলেন। ইজরায়েল বিহারের লোক। বুধবার সমীরনকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁকে পাঠানো হয় ডিটেনশন সেন্টারে। সমীরন অবশ্য দাবি করছেন, তিনি কোকরাঝাড় জেলার গোঁসাইগাও থানার অধীন কোরতিমারি গ্রামের বাসিন্দা লোকমান আলির মেয়ে। অসমে প্রায় ১০০ বিদেশি ট্রাইব্যুনাল তৈরি হয়েছে। এই আধা-বিচারবিভাগীয় সংস্থার দায়িত্ব নাগরিকত্ব নির্ধারণ ও বিদেশিদের চিহ্নিত করে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার আগে ৬টি ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো।