জানা গেছে, মাঝ আকাশে প্রসব বেদনা অনুভব করেন ওই মহিলা। ছুটে আসেন বিমানকর্মীরা। তাঁরা অবিলম্বে চিকিত্সার আর্জি জানান। দেখা যায়, বিমানের দুই যাত্রী পেশায় নার্স। সঙ্গে সঙ্গে কেবিনের সামনের অংশকে প্রসূতি কক্ষ বানিয়ে ফেলা হয়।
উমান্ডাল তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, কয়েক সেকেন্ড পরেই আমরা নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পেলাম।
উমান্ডালের ছবিতে দেখা গেছে, সন্তানকে চাদরে জড়িয়ে ধরে সিটে বসে রয়েছেন ওই মহিলা।
ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট ও নার্সরা মিনারেল জল দিয়ে সদ্যোজাতকে পরিষ্কার করেন। সহযাত্রীরা তাঁদের সঙ্গে থাকা শিশুদের পোশাকও দেন।
ইতিমধ্যেই পাইলট বিমানটিকে জরুরী ভিত্তিতে হায়দরাবাদের রাজীব গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করান। মা ও শিশু যাতে প্রয়োজনীয় চিকিত্সার সুযোগ পান তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। প্রাথমিক পরীক্ষার পর বিমানবন্দরের মেডিক্যাল কর্মীরা মা ও শিশুকে শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। বিমানবন্দরের এক নিরাপত্তা আধিকারিক এ কথা জানিয়েছেন। মা ও সদ্যোজাত সন্তান সুস্থ এবং বর্তমানে চিকিত্সকদের তত্তাবধানে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। ওই মহিলার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মাও। সদ্যোজাত সহ তাঁদের তিনজনকে সাময়িক ভিসা দেওয়া হয়েছে। বিমানে যাওয়ার উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।