জয়পুর:  মুম্বইবাসী এক মহিলা ডিস্ক জকিকে হাই-প্রোফাইল মধুচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল। ওই মহিলা ডিজে-র বিরুদ্ধে শুধু মধুচক্র চালানো নয়, সেখানে লোকেদের ফাঁসিয়ে টাকা তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে। এমনকি যাঁরা দাবি মতো টাকা দিতে পারতেন না তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে পুলিশে অভিযোগও দায়েরও করতেন ওই মহিলা ও তার দল।


২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাজস্থান পুলিশের একটি দল নিয়ে এই ঘটনার তদন্তে একটি স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ বা এসওজি তৈরি হয়। তদন্তে নেমে এই আন্ত-রাজ্য হাইপ্রোফাইল মধুচক্রের হদিস পায় পুলিশ। তখনই জানা যায়, মধুচক্রে ডেকে লোকের যৌনক্রিয়ার ভিডিও তুলে পরে সেগুলো দেখিয়েই বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে প্রায় পনেরো কোটি টাকা তুলেছে ওই চক্র। যাঁরা টাকা দিতে পারতেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা হত ধর্ষণের অভিযোগ। ওই চক্রের অন্যতম পান্ডা ছিল ২১ বছর বয়সি ওই তরুণী। গতকাল মুম্বইয়ের আন্ধেরি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের এক চিকিত্সকের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই চক্রের তদন্তে নামে পুলিশ। সুনীত সোনি নামের ওই চিকিত্সকের অভিযোগ, ওই মহিলা জকি তাঁকে বুঝিয়ে রাজস্থানের পুষ্করের একটি রিসর্টে নিয়ে যায় গতবছর মার্চে। সেখানে একরাত তাঁরা কাটান। তারপরই সেখান থেকে জয়পুর ফিরেই চিকিত্সকের থেকে এক কোটি টাকা দাবি করে ওই মহিলা জকি ও তার চক্রের অন্য সাঙ্গপাঙ্গরা। সেই টাকা না দিলে, চিকিত্সকের গোপন মুহূর্তের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ারও হুমকি দেয় ওই মহিলা। দাবি মতো টাকা দিতে পারেন না ওই চিকিত্সক। তখনই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করে ওই তরুণী।

৭৮ দিন জেলে হাজতবাস করতে হয় ওই চিকিত্সককে। এরপরই পুলিশকে ওই মহিলার কাজকর্ম সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানায় ওই চিকিত্সক। জয়পুরের ব্রক্ষ্মপুরী এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী মুম্বইয়ে একটি মিউজিকাল গ্রুপ খুলে বিভিন্ন হোটেলে অনুষ্ঠান করত। তারপর সেখান থেকেই নিজেদের শিকার ধরে নিয়ে গিয়ে মধুচক্রে ফাঁসিয়ে চলত তোলাবাজি। এই ঘটনায় ওই মহিলা ডিজে সহ মোট ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।