ঘটনায় প্রকাশ, শিশুটিকে ঘরের মধ্যে দোলনায় রেখে তার মা স্নান করতে যান। তার বাবাও কাজ থেকে ফিরে কলতলায় ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় সুশীলা সঞ্জয় তরু নামে ওই মহিলা ঘরের মধ্যে রাখা জলের গামলায় ডুবিয়ে মেরে ফেলে।
কোন্ধোয়া পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর বর্ষারাণী পাতিল জানান, স্নান থেকে বেরিয়ে শিশুকে দেখতে না পেয়ে তার খোঁজ শুরু করেন তার মা। শিশুর ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে পুত্র এবং পুত্রবধুকে জানায়, বাড়িতে দুজন মহিলা এসেছিল, তারাই সম্ভবত শিশুটিকে নিয়ে গিয়েছে।
কিন্তু, পরে জল-ভর্তি গামলার ভিতর থেকে শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই পুলিশে খবর দেন শিশুর বাবা-মা। পাতিল জানান, তিনমাসের শিশুর পক্ষে কখনই সম্ভব নয়, একা গিয়ে ওই বড় গামলার মধ্যে ঢোকার। ফলে, এটা নিশ্চিত কেউ তাকে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।
পুলিশি জেরায় অবশেষে অপরাধ কবুল করে তার ঠাকুমা। পুলিশকে সে জানায়, যেহেতু জন্ম থেকেই শিশুটি রুগ্ন ছিল এবং তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছিল। এর ফলে, প্রচুর ধার-দেনা হয়ে পড়ায় পরিবার সামলাতে সমস্যা হচ্ছিল।
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, অতীতেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভ্রুণহত্যার অভিযোগ উঠেছিল। জানা গিয়েছে, এর আগে বড় পুত্রবধূর গর্ভে কন্যা এসেছে, তা জানতে পেরে তাঁকে জোর করে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন ওই মহিলা।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা রুজু করেছে পুলিশ।