বেঙ্গালুরু: ১৭ বছরের এক কিশোরকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল কর্নাটকের কোলার স্বর্ণখনি এলাকার বাসিন্দা জনৈক গৃহবধূকে। প্রটেকশন অফ চিলড্রেন ফর সেক্সুয়াল অফেন্সেস বা পকসো আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।


কোলার স্বর্ণখনি বেঙ্গালুরু থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে। বছরদুয়েক আগে বিয়ে হয় ওই মহিলার, স্বামীর পানীয় জল সরবরাহের ব্যবসা রয়েছে। উল্টোদিকে ওই কিশোর স্কুল ড্রপআউট, মহিলার সঙ্গে আলাপ ছিল তার।

২৪ অক্টোবর ওই কিশোরকে নিয়ে ২৪ বছরের গৃহবধূটি বাড়ি থেকে পালান। সে রাতেই তাঁর স্বামী অভিযোগ করেন স্থানীয় রবার্টসোনপেট থানায়। পরদিন সকালে ছেলেটির বাবাও আসেন থানায় ছেলের নিখোঁজ ডায়রি করতে। সে সময় নিখোঁজ গৃহবধূর ছবি স্টেশন অফিসারের টেবিলের ওপর ছিল। তা দেখে কিশোরের বাবা জানতে চান, মহিলার কী হয়েছে। তিনিও নিখোঁজ শুনে তিনি তখনই সন্দেহপ্রকাশ করেন, তাহলে ওই মহিলাই তাঁর ছেলেকে নিয়ে চম্পট দিয়েছেন, কারণ পরস্পরকে চিনতেন তাঁরা।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ভদ্রলোকের কথায় কান না দিলেও প্রতিবেশীরাও বলেন, দুজনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, একসঙ্গে অন্ধ্র যাওয়ার বাস ধরলেন তাঁরা।

মহিলার স্বামীও পুলিশকে জানান, তাঁর স্ত্রী দেড়লাখ টাকা সঙ্গে নিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। মহিলার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাঁদের ধরার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তাঁরা দুদিন অন্তর ঠিকানা পাল্টাচ্ছিলেন। বিশাখাপত্তনম, বিজয়ওয়াড়া, নেল্লোর, মহাবলীপুরম সহ তামিলনাড়ুর কিছু এলাকা- এমন নানা জায়গায় লজ ভাড়া করতেন তাঁরা। শেষমেষ ১৩ তারিখ তাঁরা ধরা পড়েন তামিলনাড়ুর ভেলানকান্নি এলাকা থেকে।

পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাকে বিশ্বাস করানো যাচ্ছিল না, সঙ্গের কিশোর নাবালক, তার সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অর্থ, তাকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। তিনি ক্রমাগত বলে যাচ্ছিলেন, তাঁরা পরস্পরকে ভালবাসেন, বিয়েও করবেন শিগগিরই।