জয়পুর ও নয়াদিল্লি: দীপা কর্মকারের প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ভারতকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হলেন জয়পুরের এক মহিলা।


ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। দীপা কর্মকারের ভল্ট-ফাইনালের আগে ২৬ বছরের ওই মহিলা ট্যুইটারে লেখেন, এটা অবশ্যই অবিশ্বাস্য কৃতিত্ব। কিন্তু, ধনী দেশগুলির জিমন্যাস্টদের পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য এই প্রোদুনোভা, যাকে ‘ডেথ ভল্ট’ বলা হয়ে থাকে, করতে হয়নি। তাঁরা অনেক সহজ ভল্ট ভালভাবে করতে পেরেছেন। কারণ, সেখানে আরও ভাল পরিকাঠামো, উন্নতমানের প্রশিক্ষণ এবং সবকিছুই ভাল।

মহিলা আরও লেখেন, আজ রাতে অলিম্পিক পদকের জন্য ওকে (দীপাকে) প্রাণের বাজি রাখতে হবে। মেডেলের কাছে জীবন কোনও মূল্য পায় না। অন্তত, কয়েকটি অভিশপ্ত দেশে তাই।

এর পরই বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁকে অশালীন মেসেজ পাঠানো হয় এবং তাঁর ছবিও ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে পুলিশে অভিযোগ জানান ওই মহিলা।

একইসঙ্গে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লেখেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া এবং কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গাঁধীকে।

এরপর মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে পুলিশ। জয়পুরের প্রতাপনগর পুলিশ স্টেশনে ওই মামলা দায়ের হয়েছে। জয়পুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অগ্রহবাল বলেন, কয়েকটি আইপি অ্যাড্রেস ট্রেস করতে হবে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

পরে, ওই মহিলা ফের ট্যুইট করে জানান, পুলিশ তাঁকে প্রশ্ন করেছে, তিনি কেন ‘অভিশপ্ত’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি পুলিশকে জানান, ওই শব্দটি তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে বলেননি।