নয়াদিল্লি: হরিয়ানার রোহতকে প্রকাশ্যে এল নারকীয় গণধর্ষণ, খুনের ঘটনা। ২৩ বছরের এক যুবতীকে গণধর্ষণ করেছে সাতজন মিলে। অপরাধের শেষ নয় এখানেই। তারা নিজেদের গাড়ির তলায় ফেলে মেয়েটির মাথা পিষে দিয়েছে যাতে তাকে চেনাই না যায়! যদিও একটি সূত্রে বলা হয়েছে, গণধর্ষণের পর ইট দিয়েও থেঁতলানো হয়েছে মেয়েটির মাথা, মুখ।
গত সপ্তাহে নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গণধর্ষণের মতো অপরাধ মোকাবিলায় কড়া বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বাস্তবে মেয়েদের ওপর পাশবিক নির্যাতন বন্ধ হওয়ার লক্ষণ নেই।
গত ৯ মে সোনিপত থেকে মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে রোহতকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডিভোর্সি মেয়েটি সেদিন সকালে কাজে বেরিয়েছিল। কিন্তু রাতেও সে বাড়ি না ফেরায় তাঁর বাবা-মা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তাঁদের সন্দেহের তালিকায় আছে কয়েকজন প্রতিবেশী।
রোহতকের আইএমটি এলাকা থেকে মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। এক পথচারীর নজরে পড়ায় তিনি পুলিশকে জানান।
মেয়েটির গোপনাঙ্গে অত্যাচারের চিহ্ন রয়েছে। রাস্তার কুকুর দেহের কিছুটা খুবলেও খেয়েছে।
সোনিপতের এসপি অজয় মালিক জানান, সুমিত ও বিকাশ নামে দুজনকে এ ব্যাপারে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুমিত নির্যাতিতার পূর্বপরিচিত বলে জেনেছে পুলিশ। একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বিবাহ বিচ্ছিন্না মেয়েটির সঙ্গে অভিযুক্তদের একজনের প্রেম হয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কও ভেঙে যায়। রাগে সে-ই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকার ওপর অত্যাচার চালিয়েছে।