গুয়াহাটি: স্বামীর সামনেই গণধর্ষণের শিকার হলেন এক তরুণী। অভিযোগ, গত ১৫ তারিখ বছর ৩৫-এর ওই মহিলাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালায় ৮ জন। ঘটনাস্থল অসমের নগাঁও।


খবরে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার রাতে কানপুর থেকে হোজাই যাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। অসমের চাপারমুখে ক্ষণিকের বিরতি নেওয়ার ফলে রাত হয়ে যায়। তাঁরা সেখানে কোনও থাকার জায়গা পাচ্ছিলেন না।


এমন সময় ‘রক্ষক’ হয়ে হাজির হয় প্রধান অভিযুক্ত মার্জোত আলি। সে দম্পতিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সে ওই দম্পতিকে কোপিলি নদীর ধারে কাকোতিগাঁওতে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে রক্ষকের খোলস ছেড়ে একেবারে ভক্ষকের রূপধারণ করে মার্জোত।


অভিযোগ, ওই নির্জন স্থানে অপেক্ষা করছিল মার্জোতের সাত সঙ্গী। প্রথমে তরুণীর স্বামীকে প্রচণ্ড মারধর করে অভিযুক্তরা। পরে, স্বামীর সামনেই তরুণীকে গণধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয়।


পালানোর আগে, দম্পতির থেকে সমস্ত টাকা ও মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। যদিও, শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার, পুলিশ আটজনকেই গ্রেফতার করে। তাদের চারদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন সঙ্কটমুক্ত।


এর আগে, চলতি মাসের গোড়ায় মুম্বইতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। শহরের পার্শ্ববর্তী কল্যানে গিয়েছিলেন এক যুগল। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ, কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী তাঁদের থেকে টাকা দাবি করে। ছেলেটি দিতে অস্বীকার করলে, ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর তরুণীকে একটি টেনে হিঁচড়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।