ওই মহিলা আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, নাম রীমাদেবী রাধে গুপ্ত। দুই মেয়ে পিঙ্কি তুলসি গুপ্ত ও কিরণ রাধে গুপ্তর সঙ্গে থাকত সে। পিঙ্কি ও কিরণ বোরিভালির একটি বারে পরিবেশনকারীর কাজ করত। সেখানে গান গাইতেন ওই শিশুটির মা, হিরে ব্যবসায়ী স্বামীর সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যায় তাঁর।
তাঁর স্বামী অর্থবান বুঝতে পেরে তিন মা-মেয়ে মহিলার ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ছক কষে। সেইমত ২০১৪-র ২৪ জানুয়ারি পিঙ্কি নিজের মেয়েকে নিয়ে মহিলার বাড়ি যায়। বাড়ির পাশের দোকান থেকে চকোলেট কিনে আনার জন্য সে পাঠিয়ে দেয় তার মেয়ে ও ওই মহিলার শিশুপুত্রকে। কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি ফিরে আসে কিন্তু নিখোঁজ হয়ে যায় ছেলেটি।
এরপরেই ছেলেটির মা এক অপরিচিতের কাছ থেকে ফোন পান ২৬ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে। থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, রীমাদেবী বাচ্চাটিকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নিজের বাড়িতে চলে গিয়েছে। অপহরণের ৭ দিন ৩১ জানুয়ারি এ রাজ্য থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।