মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির বুরারিতে জনবহুল লেবার চকের সামনে। সিসিটিভি ক্যামেরা-বন্দি ছবিতে স্পষ্ট, বছর ২১-এর ওই তরুণী যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন আচমকা তাঁর ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক তরুণ।
চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটতে দেখেও নির্বিকার পথ চলতি মানুষ। কেউ দাঁড়িয়ে দেখেছেন, কেউ গিয়েছেন পাশ কাটিয়ে। সব শেষ হয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্তকে গণধোলাই দিয়ে তুলে দিয়েছেন পুলিশের হাতে।
রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তরুণীকে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, তরুণীরে শরীরে ২৫ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী যুবকের নাম সুরিন্দর সিংহ। বছর ৩৪-এর ওই যুবক দিল্লি পুলিশের এক অবসরপ্রাপ্ত এসআই-এর ছেলে। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর। এরই মধ্যে সন্তনগরের বাসিন্দা, পেশায় শিক্ষক ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
যদিও তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, বছরখানেক ধরে উত্যক্ত করছিল সুরিন্দর। মাস ৪-৫ আগে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযক্ত যুবকের দাবি, তরুণীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এদিন সে জানতে পারে, অন্য এক যুবককে নিজের কিছু ছবি পাঠিয়েছে তরুণী। তারপরই এদিন সকালের ঘটনা।
ব্যস্ত রাজধানীর জনবহুল রাস্তায় এরকম নৃশংস ঘটনা ঘটল, আর তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলে বেশ কিছু মানুষ! কী করে এতটা অমানবিক হতে পারে দিল্লি? প্রশ্ন উঠছে।