পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলার বিয়ে হয় সুধাকর রেড্ডি নামে একজনের সঙ্গে। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু রাজেশ বলে আর একজনের সঙ্গে প্রেম করতেন তিনি। ২৭ নভেম্বর দুজনে মিলে ছক কষে সুধাকরকে খুন করেন, তারপর দেহ ফেলে দেন মেহবুবনগরের এক জঙ্গলে।
এরপর শুরু হয় নাটকের আসল অংশ। রাজেশ নিজের মুখ ও শরীরের ঊর্ধ্বাংশে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। অভিযুক্ত মহিলা পুলিশে অভিযোগ করেন, ৪ জন তাঁর স্বামীর ওপর হামলা চালিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারপর রাজেশকে নিজের স্বামী সুধাকর রেড্ডি বলে পরিচয় দিয়ে ভর্তি করে দেন হাসপাতালে।
কিন্তু রাজেশের মুখ চেনার অযোগ্য হয়ে উঠলেও তাঁদের পরিকল্পনা কেঁচে যায়। গোটা ছকে বাদ সাধেন আসল সুধাকর রেড্ডির আত্মীয়রা। তাঁরা হাসপাতালে এসে বলেন, এই ব্যক্তিকে তাঁরা চেনেন না, এ সুধাকর নয়।
খবর যায় পুলিশে। শুরু হয় তদন্ত, সেখান থেকে জানা যায় গোটা ঘটনা।
মহিলা জানিয়েছেন, রাজেশের মুখ পুড়িয়ে তিনি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরিকল্পনা করেন, কারণ তাঁরা একসঙ্গে থাকতে চাইছিলেন। স্বামীর মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে মেরে কাবু করে গলা টিপে তাঁকে খুন করেন তাঁরা। তারপর দেহে আগুন ধরিয়ে তা ফেলে দেন মেহবুবনগরের জঙ্গলে।
সুধাকরের অত্যন্ত বিকৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলা গ্রেফতার হয়েছেন। তবে রাজেশকে এখনও গ্রেফতার হননি, হাসপাতালে তাঁর পোড়া ক্ষতের চিকিৎসা চলছে।