বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটি দাদার-কুর্লা লোকাল ট্রেনের প্রতিবন্ধী কামরায় উঠেছিল। সেখানে সেই সময় অন্যান্য প্রতিবন্ধী যাত্রীরা উপস্থিতও ছিল। কিন্তু নিজেদের শারীরিক অক্ষমতার কারণে, মেয়েটিকে এগিয়ে এসে কেউই সাহায্য করতে পারেননি।
ঠানে থেকে আসছিল ট্রেনটি। ঘড়িতে তখন রাত এগারোটা বাজে। ওই কামরাটা তখন কিছুটা খালিই ছিল। মেয়েটির এক সহযাত্রী পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন। সেখানেই দেখা যাচ্ছে মেয়েটিকে কীভাবে মারধর করে, তারওপর জোর জবরদস্তি করছে হামলাকারী ব্যক্তি। এমনকি একটা সময় মেয়েটি ট্রেনের দরজার কাছে চলে যায়। সেই সময়ই তাঁকে সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেননি। এমনকি এক নিরাপত্তারক্ষী পুরো ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে, কিন্তু সামান্য সাহায্য করতেও এগিয়ে আসে না সে। পরে অভিযুক্তকে দাদার স্টেশনে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ।
এই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, নিরাপত্তারক্ষীকে ইমারজেন্সি অ্যালার্ম বাজাতে বললেও, সে চুপ করে দাঁড়িয়েই ছিল। দেখুন সেই ভয়াবহ ঘটনার ভিডিও
প্রসঙ্গত, ভিডিও থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার, হামলাকারী ব্যক্তি প্রতিবন্ধী ছিল না। পরে জানা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রফিক শেখ। সে ওই মহিলার থেকে মোটা টাকা পেত। এই বিষয় নিয়েই দুপক্ষের বচসা শুরু হয়। এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি মহিলার শ্লীলতাহানি করে, তাকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টাও করে।