গুরগাঁও: একটি বেসরকারি সংস্থার হাউসকিপিং কর্মীকে আরও 'ভালো চাকরি'র টোপ দিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল গুরগাঁওয়ে। ২৬ বছরের এই মহিলাকে চাকরির টোপ দিয়েছিল তাঁরই এক পরিচিত। এরপর গত মঙ্গলবার রাতে বিলাসপুর গ্রামে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। সেখানে আরও ছয় শাগরেদ মিলে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে ওই অভিযুক্ত।
মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের অভিযোগের সত্য বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় সাত অভিযুক্তেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম কুলদীপ, সাকেত শর্মা, রাকেশ, দীপক, জিতেন্দ্র, অমিত ও কাল্লু রাম।এদের মধ্যে কাল্লু ওই মহিলার পরিচিত।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, কাল্লু তাঁকে মালেসরে একটি ভালো কোম্পানিতে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কাল্লুকে বিশ্বাস করেই তিনি গুরগাঁও থেকে মানেসরে গিয়েছিলেন। সন্ধে সাতটা নাগাদ মানেসরে কাল্লুর সঙ্গে পৌঁছন তিনি। এরপর বাইকে চড়ে এক ব্যক্তি সেখানে আসে। কাল্ল ওই ব্যক্তিকে সুপারভাইজর হিসেবে পরিচয় দেয়। এরপর সুপারভাইজার তাঁকে অফিসে নিয়ে যাবেন বলে জানায় কাল্লু। সেইমতো তিনি বাইকে চড়ে বসেন।কিন্ত সেখান থেকে কোনও কোম্পানির অফিসে না নিয়ে গিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিলাসপুরের কাছের একটি গ্রামে। সেখানে দুই অভিযুক্ত আগে থেকেই ছিল। আরও তিনজন সেখানে চলে আসে। এরপর একটি ঘরে তাঁকে বন্দী রেখে ওই সাত দুষ্কৃতী তাঁকে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা।
বুধবার ভোর বেলা কোনক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি। তিনি পুরো ঘটনার কথা তাঁর স্বামীকে জানান। এরপর মানেসর থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন।  গুরগাওয়ের ডিসিপি জানিয়েছেন, সব অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।