এই মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী বিজেপি নেতার ছেলেকে আড়াল করতে তাঁর বিরুদ্ধে হালকা ধারায় মামলা রুজু করেছে তারা। জামিনও পেয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন সিসিটিভি ফুটেজে তাঁর কার্যকলাপ ধরা পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জোরালো হয়েছে, প্রমাণ মেলা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন।
যে রাতে এই ঘটনা ঘটে, সেদিন বর্ণিকা কুন্ডুর অভিযোগের ভিত্তিতে বিকাশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু এমন ধারা তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়া হয়, যাতে সহজেই জামিন পেয়ে যান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয় ৩৫৪ ডি ধারা অর্থাৎ কাউকে অনুসরণ করা ও ৩৪১ ধারা অর্থাৎ কাউকে জোর করে আটকানোর চেষ্টার অভিযোগের মত দুর্বল ধারা।
অথচ বর্ণিকা প্রথম থেকেই বলেছেন, শুধু শ্লীলতাহানি নয়, তাঁকে অপহরণ করার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।
বিরোধীরা দাবি করেছিল, এই ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা সুভাষ বারালার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার তা খারিজ করে দিয়েছেন, বলেছেন, ছেলের অপরাধের শাস্তি বাবাকে দেওয়া যায় না। মনে করা হচ্ছে, হরিয়ানার জাঠ সম্প্রদায়কে না চটানোর জন্য এ কথা বলেছেন তিনি।