নয়াদিল্লি: গত মাসে দক্ষিণ দিল্লির হাউজ খাসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মহসিনা নামে বছর পঁচিশের এক তরুণীর অজ্ঞান দেহ। তাঁর দুই সন্তানকেও পাওয়া যা একইভাবে। এতদিন কোমায় থাকার পর অবশেষে রবিবার জ্ঞান ফিরেছে মহসিনার। তারপরেই তাঁর অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলার নলি কেটে খুনের চেষ্টা করেন তাঁদের।


১৭ নভেম্বর পুলিশে খবর আসে, এক মহিলা তাঁর ১৮ মাসের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়ের নলি কেটে নিজেও একইভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। হাসপাতালে শিশুকন্যার মৃত্যু হয়, ছেলেটি এখনও বেঁচে, লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। ডাক্তারি পরীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে, বাইরের কেউ নয়, মহিলা নিজেই তাঁর গলায় কোপ বসিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকেই মহসিনা কোমায় ছিলেন। জ্ঞান ফেরে গতকাল। লিখিত বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করেছেন, ১৬ নভেম্বর মাঝরাতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুমনোর সময় তাঁর স্বামী সামিম এসে তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। ভোর চারটে পর্যন্ত চলে এই অত্যাচার। এর মধ্যে এসে পড়েন শ্বশুর শাশুড়ি। সকাল ৭টা নাগাদ মহসিনা যখন ঘুমোতে যাচ্ছিলেন, তখন দেখেন, সামিম ও তার ভগ্নীপতি সালিম ছুরি নিয়ে তাঁর মেয়ের গলা কাটার চেষ্টা করছে। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা তাঁর আঙুল কেটে দেয়। ফের তিনি তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে তারা কেটে দেয় তাঁর গলার নলি।

মহসিনার বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে, ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। মৃত মেয়েটির ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এসেছে কিন্তু তাতে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। মহিলার শ্বশুর শাশুড়িকে জেরা করবে পুলিশ। তাঁর স্বামী ও ননদের স্বামীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে তারা।